
নয়াদিল্লি: হাসিনার রায়দানের পর আন্তর্জাতিক স্তরে তৎপর ঢাকা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চায় বাংলাদেশ। ফেরত চায় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামালকেও। কিন্তু এনারা কোথায় রয়েছেন? বাংলাদেশের কথায়, নয়াদিল্লি আশ্রয় দিয়েছে এই দুই নেতাকে। তাই নয়াদিল্লিকে প্রত্যর্পণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। পাশাপাশি, দুই প্রক্রিয়ায় নয়াদিল্লিকে চিঠি পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
এদিন উপদেষ্টা বলেন, ‘হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে ফেরত আনতে হবে। যেহেতু আদালত তাঁদের শাস্তি দিয়েছে। সে জন্য আমরা ভারতকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই বিষয়টা জানাব। দু’টি প্রক্রিয়ায় চিঠিও পাঠাব।’ শুধু তা-ই নয়, রায় ঘোষণার পরেই একটি বিবৃতিও জারি করে বাংলাদেশে বিদেশমন্ত্রক। তাতে তারা জানায়, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রায়ের পর আমরা ভারত সরকারের কাছে অনতিলম্বে দুই অপরাধীকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ এই প্রসঙ্গে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষর হওয়া প্রত্যর্পণ চুক্তির কথাও তুলে ধরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। তাঁদের দাবি, ‘দুই দেশের মধ্য়ে বিরাজমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে এটি ভারতের জন্য অবশ্যই পালনীয় একটি দায়িত্ব।’
Our statement regarding the recent verdict in Bangladesh⬇️
🔗 https://t.co/jAgre4dNMn pic.twitter.com/xSnshW6AzZ— Randhir Jaiswal (@MEAIndia) November 17, 2025
কিন্তু বাংলাদেশের এই আহ্বানের কোনও প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত সরকার? ইউনূসের দাবিই কি মেনে নেবে তাঁরা? ইতিমধ্য়েই দেশের বিদেশমন্ত্রক তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বাংলাদেশকে ‘ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী’ বলেই উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের দেওয়ার রায় সম্পর্কে ভারত অবগত বলেও জানিয়েছে। সেই বিবৃতি অনুযায়ী, ‘যেহেতু বাংলাদেশ, ভারতের খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। তাই তাঁদের জনগণের স্বার্থে— শান্তি, গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতার প্রতি ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে ভারত সরকার অবশ্যই আলোচনা করবে।’