নয়া দিল্লি: পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরে হামলা ও বিগ্রহ ভাঙার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাল ভারত। জবাবদিহির জন্য তলবও করা হয়েছে পাক প্রশাসনের প্রতিনিধিকেও তলব করেছে বিদেশমন্ত্রক। মন্দির ভাঙার এই ঘটনার সমালোচনা করে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, “এইধরনের হিংসা ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা পাকিস্তানে বেড়েই চলছে।”
বৃহস্পতিবারই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় একটি ভিডিয়ো। সেখানে দেখা যায়, একটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালাচ্ছে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি। ভেঙে ফেলা হয় মন্দিরে স্থাপিত বিগ্রহও। এরপরই সমালোচনায় সরব হয় নেটমহল। বৃহস্পুতিবার এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ” পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা উপর হামলা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সেখানেই প্রশাসন চুপ করে দাড়িয়ে গোটা বিষয়টা দেখছে। হিন্দুদের উপর হামলা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে পাক প্রশাসন”। প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইসলামাবাদকে জবাবদিহির জন্য প্রতিনিধি পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সাংবাদিক বৈঠকে অরিন্দম বাগচী বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে কীভাবে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান জেলায় একটি গনেশ মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে এবং মূর্তি ভেঙে দিয়ে মন্দির চত্বরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। হিন্দুদের উপর এই হামলা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ পাকিস্তান সরকার।” মন্দিরের আশেপাশের বাড়িগুলিতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে আপাতত পাক রেঞ্জার্সরা মোতায়েন রয়েছেন সুরক্ষার জন্য।
অন্যদিকে, এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। তিনি টুইটে লেখেন, “ভঙ-এর মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি পঞ্জাবের আইজি-র সঙ্গে কথা বলেছি, দোষীদের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছি। সরকারের তরফে ওই মন্দির নতুন করে গড়ে দেওয়া হবে।” আরও পড়ুন: দুটি ডোজ়েই মিলবে করোনা থেকে তিনগুণ বেশি সুরক্ষা, দাবি গবেষণায়