
দেশের তিন বাহিনীর জন্যই সুখবর। আত্মঘাতী হামলায় সক্ষম ৮৫০ কামিকাজে ড্রোন পাচ্ছে ভারত। ২০০০ কোটি টাকার বিনিময়ে আত্মঘাতী হামলাকারী ড্রোন কিনছে ভারত। দেশের তিন সামরিক বাহিনী-ই এই ড্রোনগুলি হাতে পাবে। পাকিস্তানের দিক থেকে লাগাতার উস্কানির কথা মাথায় রেখে দ্রুত এই ড্রোনগুলি হাতে পেতে চাইছে দেশের বাহিনী। পাকিস্তান এখন আবার বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করে ভারতীয় সীমান্তের কাছে অশান্তি পাকাতে চাইছে। সেদিকেও নজর রেখেছে ভারতীয় সেনা।
অপারেশন সিঁদুর-এর পরই সেনা অনুভব করে, ভবিষ্যতের যুদ্ধ জিততে হলে আগ্নেয়াস্ত্র বা যুদ্ধবিমানের চেয়েও ড্রোন বেশি উপযোগী। আর ড্রোন যুদ্ধে আত্মঘাতী ড্রোনের জুড়ি মেলা ভার। এদের লয়টারিং মিউনিশন-ও বলে। টার্গেটকে নিশানা করে এই ড্রোন আকাশে উড়ে যায় ও টার্গেট কে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। ‘নাগাস্ত্র ১’ সিরিজের জিপিএস ফিচার সমৃদ্ধ ড্রোনগুলি জরুরি ভিত্তিতে কিনছে ভারত। তার জন্য এখন শুধু চলতি মাসে ডিফেন্স কাউন্সিলের চূড়ান্ত ছাত্রপত্রের অপেক্ষা। সবচেয়ে বড় কথা, কোনও বিদেশি রাষ্ট্র নয়, ভারতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছ থেকেই এগুলি কিনছে কেন্দ্র। অস্ত্রে ভারত যে এখন আত্মনির্ভরশীল, তার প্রমাণ এই ড্রোনগুলি হাতে পাওয়া।
অপারেশন সিঁদুর-এর পরই আলাদা ড্রোন বাহিনী তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয় সেনা। সেইমতো আত্মপ্রকাশ করে ‘অশনি’ প্লাটুন। এই বাহিনীর মূল কাজই হল ড্রোন অপারেট করে শত্রুকে নিকেশ করা। নজরদারি, হামলা ও রেকি- তিন কাজের জন্যই এই বাহিনী বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। আর এই বাহিনীর জন্যই ভবিষ্যতে ৩০ হাজার ড্রোন হাতে পেতে চায় সেনা। আর হামলার জন্য কামিকাজে ড্রোনের চেয়ে বেশি কাজের আর কী-ই বা হতে পারে? হামলার জন্য টার্গেট সেট করে দিলে তাকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত রেহাই দেয় না এই ড্রোন। আকাশেই লাগাতার উড়তে থাকে। একবার টার্গেটের দেখা পেলে চোখের নিমেষে আত্মঘাতী হামলা চালায়। পাকিস্তান সীমান্তে এই ড্রোনগুলি নজরদারিতে বিশেষভাবে কাজে লাগবে। অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলেই জঙ্গিদের উপরে হামলা চালাবে এই কামিকাজে ড্রোন। অপারেশন সিঁদুর-এ ভারতের ড্রোন হামলাতেই জঙ্গিদের ৯টির মধ্যে সাতটি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত।