
একদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, অন্য দিকে চিনের আগ্রাসন। আর এর মধ্যেই ভারতের সামরিক শক্তির দিকে নজর ঘুরে গেল গোটা বিশ্বের। এমনিতেই সামরিক শক্তির দিক দিয়ে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যেই আসে ভারত। একই সঙ্গে আমাদের দেশের কাছে রয়েছে পরমাণু অস্ত্রও। কিন্তু World Directory of Modern Military Aircraft-এর প্রকাশিত তালিকা হঠাৎই একটা বিরাট আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।
এমন আলোড়ন পড়ে যাওয়ার মতো কি হয়েছে? আসলে এই নব্য প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী চিনকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী বিমানবাহিনী রয়েছে আমাদের দেশেরই। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে রাশিয়া। আর এখানেই সেই চমক।
এই র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তি TVR বা ‘ট্রু-ভ্যাল রেটিং’। শুধুমাত্র বিমানের সংখ্যা বেশী হলেই এই তালিকায় উপরের দিকে থাকা যাবে এমনটা নয় বিষয়টা। একই সঙ্গে আরও অনেক কিছুর উপরই নজর রাখা হয়।
আর এই খবরে গোটা বিশ্বজুড়ে আলোড়ন যেমন পড়েছে, তেমনই জ্বলুনি শুরু হয়েছে চিনেরও। ড্রাগনের দেশের সামরিক বিশেষজ্ঞ ঝাং জুনশে এই র্যাঙ্কিংকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। তিনি সে দেশের সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-কে বলেছেন, ‘কাগজে কলমে শক্তি’ কখনই আসল শক্তি নয়। তাঁর মতে, ‘প্রকৃত যুদ্ধক্ষেত্রের ক্ষমতাই’ আসল পরিমাপ। আসলে তাঁর এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যায় এই তালিকায় ভারতের তিনে উঠে আসা একেবারেই মেনে নিতে পারছে না শি জিনপিং প্রশাসন।
তবে, এই খবরের পর ‘ইউরেশিয়ান টাইমস’-এর মতো মিডিয়া ভারতকে সতর্কও করেছে। তারা বলছে এই র্যাঙ্কিং দেখে আত্মবিশ্বাস যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলেই সমস্যা। কারণ, এই ক্ষেত্রে তারা ভারতের আগে হওয়া সংঘর্ষগুলো ও চিনের পিএল ১৫ মিসাইলের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
তবে, এই বিতর্কে একটা বিষয় খুবই স্পষ্ট। আর তা হল কাগজের র্যাঙ্কিং আর বাস্তব পরিস্থিতির মধ্যে বেশ অনেকটাই তফাৎ রয়েছে। তবে, যুদ্ধক্ষেত্র বা যে কোনও সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে যে দেশের সৈনিকরা স্নায়ুর চাপ নিতে পারবে শেষ হাসি কিন্তু তারাই হাসবে।