দাবি ভ্যাকসিনের অগ্রগণ্যতা ও বিমা, ‘প্রথম সারির যোদ্ধা’র তকমা দাবি ভারতীয় পাইলটদের
প্রথম সারির যোদ্ধার তকমা পেলে পাইলট ও বিমান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যরাও ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্যতা, বিমা এবং করোনা সম্পর্কিত নানা সুবিধা পাবেন। দাবি জোরাল করতে বিগত এক বছরে ১৭ জন কর্মীর মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করা হয়।
নয়া দিল্লি: কেবল স্বাস্থ্যকর্মী বা সাফাইকর্মীই নয়, প্রথম সারির যোদ্ধার তকমা চান ভারতীয় বিমান পরিষেবার পাইলটেরাও। করোনাকালে দেশ-বিদেশে আটকে থাকা লক্ষাধিক মানুষকে ঘরে ফেরাতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন তারাও। বহু পাইলট ও যাত্রীসেবার সঙ্গে জড়িত ক্রু বা কর্মীরাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই কারণেই প্রথম সারির যোদ্ধার তকমা চাইলেন তারা।
মঙ্গলবার ভারতীয় পাইলটদের ফেডেরেশনের তরফে বম্বে হাইকোর্টে এই মর্মে একটি আবেদনও পাঠানো হয়। সেখানে প্রথম সারির যোদ্ধাদের আওতায় আকাশপথে পরিবহনে যু্ক্ত কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়। প্রথম সারির যোদ্ধার তকমা পেলে পাইলট ও বিমান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যরাও ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্যতা, বিমা এবং করোনা সম্পর্কিত নানা সুবিধা পাবেন। দাবি জোরাল করতে বিগত এক বছরে ১৭ জন কর্মীর মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করা হয়। জানানো হয়, এর মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই বিষয়ে ফেডারেশনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “এখনও অবধি পাইলটদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে কোনও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেই। তাদের সুরক্ষায় কোনও বিমা বা অন্য কোনও ব্যবস্থাও নেই। যারা বিগত ১৪ মাস ধরে জাতীয় পরিষেবায় কাজ করছেন, তাদেরকেও প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে গণ্য করার আবেদন করা হচ্ছে।”
ফেডারেশনের তরফে জানানো হয় এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, ইন্ডিগো, গো এয়ার, সৌদিয়া ও ভিস্তারা মিলিয়ে মোট ৫ হাজার ৬১৯ জন কর্মী কাজ করছেন। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি মাস অবধি কেবল এয়ার ইন্ডিয়ারই ১৯৯৫ জম কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫৮৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: লাদাখের আকাশে মহড়া শুরু চিনা বায়ুসেনার, উস্কানি ছড়িয়ে উহানকে আড়াল করার চেষ্টা!