
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এবার তৈরি হতে চলেছে নতুন ব্যাটেলিয়ান। গত ২৭ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবসে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ঘোষণা করেন এই বিশেষ বাহিনী গঠনের। আসলে, দেশের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে দ্রুত, উচ্চ-প্রভাবশালী কৌশলগত অভিযানের জন্য এই ‘ভৈরব লাইট কম্যান্ডো ব্যাটালিয়ন’ তৈরি হচ্ছে। এটি সাধারণ পদাতিক সেনা ও এলিট প্যারা এসএফের (Para-SF) মধ্যের ফাঁক পূরণ করবে।
এই কম্যান্ডো ইউনিটগুলি সেনার নতুন ‘রুদ্র অল-আর্মস ব্রিগেড’-এর অংশ। এদের মূল কাজ দ্রুত শত্রুর ঘাঁটিতে হানা দেওয়া ও শত্রুর রসদ ও অ্যামোনেশন নষ্ট করা। এ ছাড়াও শত্রুপক্ষের সামনের দিকে থাকা আক্রমণের একাধিক যন্ত্রপাতিকেও ধ্বংস করা। প্রতিটি ভৈরব ব্যাটালিয়নে জওয়ান সংখ্যা হবে ৬০০ থেকে ৬৫০ জন। এর পর এই ব্যাটেলিয়নকে ৪টি দলে ভাগ করা হবে। তাহলে ১টি দলে ১৪০ থেকে ১৫০ জনের মতো সেনা থাকবে। যা সেনার সাধারণ বাটেলিয়নের চেয়ে অনেকটা ছোট। ছোট ব্যাটেলিয়ন হওয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত কৌশল নেওয়া সহজ হবে।
প্রথম ধাপে পাঁচটি ভৈরব ব্যাটালিয়ন গঠিত হয়েছে বা বলা যায় তৈরি শেষের পথে। লেহ, শ্রীনগর, নাগরোটা সহ নর্দার্ন কমান্ডে প্রাথমিক ভাবে এদের মোতায়েন হচ্ছে। প্রত্যেক জওয়ানকে নেওয়া হচ্ছে এলিট ঘাটক প্লাটুন থেকে। আধুনিক ড্রোন, সুইসাইড ড্রোন এবং ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সরঞ্জাম থাকছে এদের কাছে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ লেফটন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) অজয় কুমার বলেছেন, ‘ভৈরব ইউনিটগুলো তৈরি করা হয়েছে স্ট্র্যাটেজিক্যালি আক্রমণ করার জন্য। এর ফলে প্যারা-এসএফকে আরও কঠিন কোনও মিশনে ব্যবহার করা যাবে’। এই ইউনিটগুলি ২ থেকে ৩ মাসের কঠোর প্রশিক্ষণের পর এক মাস প্যারা-এসএফ-এর সঙ্গে কাজ করবে। দ্রুততা, প্রযুক্তি এবং চরম দক্ষতার সংমিশ্রণে তৈরি হতে চলেছে এই নতুন ব্যাটেলিয়ন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২৫টির বেশি ব্যাটালিয়ন নিয়ে তৈরি হওয়া ‘ভৈরব বাহিনীই’ হবে ভারতের সীমান্ত সুরক্ষার নতুন মুখ।