
220825_INDIA PAK WEAPON
১৪ অগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ‘আর্মি রকেট ফোর্স কম্যান্ড’ তৈরি করার কথা ঘোষণা করেন। আর তারপর। ১৫ অগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন লাল কেল্লা থেকেই অত্যাধুনিক হাতিয়ার নির্মাণ নিয়ে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানেই তিনি জানান ‘২০৩৫ সালের মধ্যে সুদর্শন চক্র পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে’।
কিন্তু এই সুদর্শন চক্র কী ধরনের অস্ত্র? তার ক্ষমতাই বা কতটা? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শত্রুর রকেট, ক্ষেপনাস্ত্র বা ড্রোনকে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া যাবে এই সুদর্শন চক্রের মাধ্যমে। এ ছাড়াও ডিজিটাল বা সাইবার যুদ্ধেও কামাল করতে পারবে এই হাতিয়ার। তবে, বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম এই দাবিও করছে যে সুদর্শন চক্র আর পাঁচটা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মতো হবে না। এটা অনেকটা ইজরায়েলের আয়রন ডোমের মতো হতে পারে।
সূত্রের খবর, এই সুদর্শন চক্র তৈরি করতে ইতিমধ্যেই কাজে লেগে পরেছেন ডিআরডিও বা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। যদিও এই অস্ত্র সম্পর্কে বেশিরভাগ তথ্যই গোপনে রেখেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে যা বোঝা যাচ্ছে এই অস্ত্র ডিফেন্স ও অ্যাটাক, দুই বিভাগেই পারদর্শী হবে।
কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের সময় দেখা গিয়েছে ভারতের কাছে এস-৪০০ ও অন্যান্য এয়ার ডিফেন্স হাতিয়ার রয়েছে। যা দিয়ে পাকিস্তানের একাধিক আক্রমণ ঠেকিয়ে দেওয়া গিয়েছে। তাহলে হঠাৎ এই অস্ত্রের কী দরকার হল? আসলে, ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে দেখা গিয়েছে কিছু সময় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কাজ নাও করতে পারে। বা হাইপারসনিক ক্ষেপনাস্ত্রের ক্ষেত্রেও আটে যেতে পারে বর্তমান এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। আর নতুন এই সুদর্শন চক্রের মাধ্যমে ভারতের প্রতিরক্ষার সেই ফাঁকই পূরণ করতে চাইছে মোদী সরকার।