
নয়া দিল্লি: শত্রুদের ঘুম উড়িয়ে ক্ষমতা বাড়াচ্ছে ভারতীয় সেনা। ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে এতদিন দুর্গম পাহাড়ের আড়াল দিয়ে পালাত জঙ্গিরা। এবার সেই পথও বন্ধ হচ্ছে একে একে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্প্রতি কাশ্মীরে নতুনভাবে নির্মিত রেলওয়ে নেটওয়ার্ক ও সেতুর মাধ্যমে ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি গান এবং ইনফান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকেল (Infantry Fighting Vehicle) সফলভাবে পরিবহন করেছে। এটি কেবল একটি পরিবহন সাফল্য নয়, বরং কাশ্মীর অঞ্চলে ভারতের সামরিক প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক অগ্রগতিও বটে।
এতদিন কাশ্মীরে ভারী যুদ্ধসরঞ্জাম মোতায়েনের ক্ষেত্রে পাহাড়ি সড়ক ব্যবস্থাই ছিল প্রধান ভরসা, যা আবহাওয়া, ভূমিধস এবং শত্রুপক্ষের নজরদারির কারণে সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। রেলপথ চালু হওয়ায় সেই সীমাবদ্ধতা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। ট্রেনে ভারী প্ল্যাটফর্ম পরিবহন সম্ভব। কম সময়ে বেশি সংখ্যক ফোর্স ও ইকুইপমেন্ট নির্ভরযোগ্যভাবে ফ্রন্টে পৌঁছানো যাচ্ছে এখন।
এই সক্ষমতা ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কাশ্মীরে দ্রুত সামরিক ছাউনি গঠন এবং সেনা মোতায়েন (Rapid Buildup- Sustained Deployment)–এর ক্ষেত্রে বড় সুবিধা দিচ্ছে।
অন্য়দিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এখনও এই অঞ্চলে মূলত সড়কনির্ভর লজিস্টিক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। সংঘর্ষের সময় তুলনামূলকভাবে বেশি মাইলেজ পাবে ভারত। সহজেই আটকে দেওয়া যাবে পাক সেনাকে। যুদ্ধের প্রয়োজন পড়বে না। প্রস্তুতিতেই অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে পাকিস্তানের।