গ্যাংটক: দার্জিলিঙের পাহাড়ে ব্যাপক তুষারপাত হচ্ছে। বরফের চাদরে ঢেকেছে সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকাও। শীতের মরশুমে ফ্রেশ স্নো-ফল দেখতে পর্যটকরাও ছুটছেন দার্জিলিং-সিকিমে। তবে সাবধান! সিকিমে ঘুরতে গিয়ে অনেক পর্যটক তুষারপাতের মধ্যে আটকে পড়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করতে আসরে নেমেছেন সেনা জওয়ানরা। পূর্ব সিকিমে উচু পার্বত্য এলাকা থেকে ৮০০-র বেশি পর্যটককে এদিন বিকেলে উদ্ধার করেছে ভারতীয় সেনা। উদ্ধার অভিযান এখনও চালিয়ে যাচ্ছে সেনা। আজ সন্ধের মধ্যে ৮০০র বেশি পর্যটককে তুষারপাত বিপর্যস্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত সেনা ছাউনিতেই রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁদের। সেখানেই পর্যটকদের জন্য গরম জামা-কাপড়, খাবার-দাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছে ভারতীয় সেনা।
সিকিমে পর্যটকদের তুষারপাতে আটকে পড়ার খবর পাওয়া মাত্রই উদ্ধারকাজ শুরু করে দেন সেনা জওয়ানরা। সেনার ট্রাকে করে পর্যটকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় ছাউনিতে। সেখানে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য নিজেদের জন্য বরাদ্দ জায়গাও ছেড়ে দিয়েছেন জওয়ানরা। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিপদে পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে জওয়ানদের। ‘দেবদূতের’ মতো পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। এবারও কনকনে ঠান্ডায় ঘোর বিপদের মুখ থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করলেন জওয়ানরা।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই দার্জিলিঙের সান্দাকফু-ফালুট ও আশপাশের এলাকায় তুষারপাত শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে সিকিমেও উচ্চ পার্বত্য এলাকাগুলিতে ব্যাপক তুষারপাত চলছে। একাধিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সিকিমের বিভিন্ন পর্যটনস্থলগুলিতে প্রায় ৪০০-র বেশি গাড়ি আটকে পড়েছিল ভারী তুষারপাতের জন্য। ভয়ঙ্কর শৈত্য প্রবাহও চলছে সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকেও এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।