
নয়া দিল্লি: নিজেদের তৈরি ওষুধেই এবার স্বাস্থ্যের জগতে বিপ্লব ঘটাল ভারত। চার বিরল রোগের ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ওষুধ এনে চিকিৎসা করাতে যা খরচ হত, বর্তমানে সেই খরচ কমেছে প্রায় ১০০ শতাংশ। এি চার রোগের মধ্যে বেশিরভাগই জিনগত রোগ। সবকটির ক্ষেত্রেই শিশুদের জীবনের ঝুঁকি থাকে, তাই এই ওষুধগুলি কার্যত বদল ঘটিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে।
এই চার রোগের মধ্যে অন্যতম টাইরোসিনেমিয়া টাইপ ১। এই রোগে চিকিৎসার ক্ষেত্রে খরচ লাগত বছর ২.২ কোটি থেকে ৬.৫ কোটি। বর্তমানে সেই খরচ কমে হয়েছে ২.৫ লক্ষ টাকা। এই রোগের ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা না হলে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ভারতে তৈরি হয়েছে এই রোগের ওষুধ ‘নিতিসিনোন।’
বাকি তিন বিরল রোগ হল গাউচারস ডিজিজ, যাতে লিভার বড় হয়ে যায়, শরীরের হাড়ে বাড়ে ব্যাথা। এছাড়া আছে উইলসনস ডিজিজ, যার জেরে লিভারের সমস্য়া হয় মূলত, মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। আর চতুর্থটি হল লেনক্স গ্যাসটাউট সিনড্রোম।
গাউচারস ডিজিজের ক্ষেত্রে বছরে ১.৮ থেকে ৩.৬ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হত। দেশে ওষুধ তৈরি হওয়ায় সেই খরচ কমে হয়েছে ৩.৬ লক্ষ। উইলসনস ডিজিজের ক্ষেত্রেও বছরে ২.২ কোটি থেকে খরচ কমে হয়েছে ২.২ লক্ষ। লেনক্স গ্যাসটাউট সিনড্রোমের ক্ষেত্রেও খরচ ৭-৩৪ লক্ষ টাকা থেকে কমে ১-৫ লক্ষ টাকা হয়েছে। সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ভারতে ৮ থেকে ১০ কোটি রোগী রয়েছেন, যাঁরা এরকম বিরল অসুখে ভুগছেন। এই সব রোগের ক্ষেত্রে অনেক কম বয়স থেকে চিকিৎসা করাতে হয়। তাই নতুন ওষুধ তৈরি হওয়ায় বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।