
নয়াদিল্লি: শক্তি বাড়ছে নৌবাহিনীর। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নতুন ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রন গড়ার কাজ শেষ করবে ভারত। সেই উদ্দেশ্যে আমেরিকা থেকেই আনা হয়েছে MH-60R রোমিও চপার। এই স্কোয়াড্রনের দফতর হবে গোয়া। সেখানে INS Hansa-তে গঠিত হচ্ছে নতুন চপারগুলি।
যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার নির্মাতা মার্কিন সংস্থা লকহিড মার্টিনের তৈরি এমএইচ-৬০আর রোমিও চপার কেনার জন্য় ২০২০ সালে বরাত দিয়েছিল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেই মর্মে নৌসেনার জন্য ২৪টি রোমিও এবং তাতে ব্য়বহৃত বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র, নজরদারি সরঞ্জাম কেনার জন্য বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা। নৌসেনা সূত্রে খবর, ওই ২৪টি চপারের মধ্যে আমেরিকা থেকে আপাতত ১৫টি চপার এসে পৌঁছেছে।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর গোয়ায় INS Hansa থেকে কমিশন করা হবে NAS 335 (Ospreys)-কে। এটির অধীনেই তৈরি হচ্ছে সকল MH-60R রোমিও চপারগুলি। উন্নত অস্ত্র, সেন্সর এবং অ্যাভিওনিক্স স্যুট সব মিলিয়ে রোমিও যেন নৌসেনার ‘পাওয়ার-প্য়াকেজ’। এই কমিশনিংয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠীও।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই রোমিওর ক্ষমতা অশেষ। শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ ধ্বংস করার পাশাপাশি সমুদ্রের বুকে তল্লাশি ও উদ্ধারকার্যে অত্যন্ত দক্ষ এই চপার। এটি শুধুই একটি হেলিকপ্টার নয়, দীর্ঘমেয়াদি অপারেশনাল সক্ষমতা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনী ‘সাসটেইনমেন্ট সাপোর্টের’ অন্যতম অঙ্গীকার।
ভারতে প্রথম স্কোয়াড্রন INAS 334 ‘Seahawks’ কমিশন করা হয়েছিল ২০২৪ সালের মার্চ মাস। অর্থাৎ ওই মাস থেকে সক্রিয় ভাবে ব্যবহার শুরু হয়েছিল এই স্কোয়াড্রনটি। এবার প্রায় দেড় বছরের অধিক সময়ের মাথায় কমিশন হতে চলেছে দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন, বর্তমানে ভারতীয় নৌসেনা ব্যবহৃত সাড়ে চার দশকের পুরনো ব্রিটিশ সি কিং হেলিকপ্টারের তুলনায় মারণক্ষমতায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে রোমিও।