Indian Navy: ১১ সাবমেরিন, ৩৫ রণতরী, সমুদ্র জুড়ে ভারতীয় নৌসেনার নিঃশব্দ বিপ্লব!

Indian Navy: শুধু লোহিত সাগরেই নয়, বিপদ বাড়ছে ভারত মহাসাগরেও। চিনের উপস্থিতি ক্রমে বাড়ছে। গবেষণার নামে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একের পর এক জাহাজ পাঠাচ্ছে তারা। এরইমধ্যে, সাগরের দখল নিতে প্রায় নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটালো ভারতীয় নৌসেনা।

Indian Navy: ১১ সাবমেরিন, ৩৫ রণতরী, সমুদ্র জুড়ে ভারতীয় নৌসেনার নিঃশব্দ বিপ্লব!
সাগরে ১১টি সাবমেরিন ৩৫টি রণতরী মোতায়েন করল ভারতীয় নৌসেনাImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 24, 2024 | 6:44 PM

নয়া দিল্লি: মধ্যপ্রাচ্যে লোহিত সাগর এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে নিয়মিত নিরাপত্তা দিচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনীদুটি যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী। সদ্য সোমালিয়ার ৩৫জন জলদস্যুকে বন্দি করে আনা হয়েছে ভারতে। লোহিত সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর দাপট দেখে, সম্প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। তবে শুধু লোহিত সাগরেই নয়, বিপদ বাড়ছে ভারত মহাসাগরেও। চিনের উপস্থিতি ক্রমে বাড়ছে। গবেষণার নামে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একের পর এক জাহাজ পাঠাচ্ছে তারা। এরইমধ্যে, সাগরের দখল নিতে প্রায় নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটালো ভারতীয় নৌসেনা। সব মিলিয়ে ১১টি সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ এবং ৩৫টি রণতরীকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মোতায়েন করা হল।

সপ্তাহের শুরুতে বিশাখাপত্তনমে অবস্থিত ইস্টার্ন নাভাল কমান্ডে তিন দিন ছিলেন অ্যাডমিরাল কুমার। তিনি জানিয়েছেন, ১০টি রণতরী যাবে উত্তর আরব সাগর, লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর এবং সোমালিয়ার পূর্ব উপকূল এলাকায়। জলদস্যুদের ঠান্ডা করার পাশাপাশি হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের হামলার ঝুঁকিতে থাকা জাহাজগুলিকে সুরক্ষা দিতে মোতায়েন করা হয়েছে এই রণতরীগুলিকে। অন্য রণতরীগুলি কাজ করবে বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলে। নৌবাহিনীর প্রধান, অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেছেন, “১১টি সাবমেরিন, ৩৫টি জাহাজ এবং ৫টি বিমান সমুদ্রে মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। ওই অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজগুলির যাত্রা নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত, এই জাহাজগুলি সেখানেই মোতায়েন থাকবে।”

ররিবার একসঙ্গে মোতায়েন করা হল ১০টি সাবমেরিন, যা এর আগে কখনও হয়নি

বর্তমানে ছয়টি সামরিক জাহাজ এবং একটি স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং জাহাজ-সহ মোট ১৩টি চিনা জাহাজ ভারত মহাসাগরের বিভিনন যায়গায় অবস্থান করছে। এমনি সময়ও, পিপলস লিবারেশন আর্মি নৌবাহিনীর ছয় থেকে আটটি জাহাজ এই অঞ্চলে উপস্থিত থাকে। মাঝে মাঝে যাত্রা করে চিনা সাবমেরিনও। এই পরিস্থিতিতে একসঙ্গে এতগুলি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন মোতায়েন করা হল। অ্যাডমিরাল হরি কুমার বলেছেন, গত কয়েক মাসে হুথি বিদ্রোহী এবং সোমালিয়ার জলদস্যুদের হামলার জেরে, মালবাহী জাহাজগুলির বীমার খরচ ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অনেক জাহাজ, এডেন উপসাগর এড়িয়ে ‘কেপ অব গুড হোপ’ দিয়ে যাত্রা করছে। তাতে পণ্য পরিবহনের খরচও ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ভারতীয় রণতরীগুলি মোতায়েন করার ফলে, পণ্য পরিবহণের পরিস্থিতি সহজতর হয়ে উঠবে।