
নয়া দিল্লি: ট্রেনে যাতায়াত করেন অনেকেই, তবে ট্রেনের নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। সাধারণ যাত্রীদের ট্রেনে যাতায়াত করতে হয় টিকিট কেটেই। তবে রেলের কর্মী হলে তাঁকে বা তাঁর পরিবারকে কি ট্রেনের টিকিট কাটতে হয়? অনেকেরই ধারণা, রেলকর্মীদের জন্য ট্রেনে যাতায়াত সম্পূর্ণ ফ্রি? এটা কি সত্যি?
কর্মীদের জন্য রেলের তরফে একাধিক ছাড় দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল রেল পাস। কর্মী ও অফিসারদের রেলের পাস দেওয়া হয় যাতায়াতের জন্য। তবে বিভিন্ন শ্রেণির জন্য এই নিয়ম আলাদা।
রেলের পাসে কর্মীরা তাঁর পরিবারকে নিয়ে নিখরচায় যাতায়াত করতে পারেন। তবে তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই বৈধ এবং বিশেষ কিছু শর্তও থাকে। একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের পর টিকিটের দাম দিতে হয়।
রেলের তরফে পাস ও প্রিভিলেজ টিকিট অর্ডার (PTO) দেওয়া হয় কর্মীদের জন্য। তবে তা কর্মজীবনের ৫ বছর পূর্ণ করার পরই পাস পাওয়া যায়। সারা বছরে তিনবার ফ্রি রেলওয়ে পাস ও ৪ সেট পিটিও দেওয়া হয়। তবে ৫ বছর পূরণ হওয়ার আগে একটি পাস দেওয়া হয়।
রেলওয়ে পাসের অধীনে রেলকর্মীরা সম্পূর্ণ নিখরচায় ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন। পিটিও-তে টিকিটের এত তৃতীয়াংশ দাম দিতে হয়। রেল পাসে কর্মী নিজে, তাঁর স্ত্রী, সন্তান ও মা-বাবা যাতায়াত করতে পারেন।
যদি কোনও রেলকর্মীর বার্ষিক পাস শেষ হয়ে যায়, তবে তাদের বাকি যাত্রীদের মতো পুরো টাকা দিয়েই টিকিট কেটে যাতায়াত করতে হবে। পাস ও পিটিও এক বছর পরে শেষ যায়। তার আগেই এই পাস ব্যবহার করে ফেলতে হয়। রেলের সার্ভিস বুকে রেজিস্টার পরিবারের সদস্যরাই একমাত্র এই পাস ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারেন।