লখনউ: সাধারণত সারা বছর প্রয়াগরাজে ১৪০টি ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু এই বছর সেখানে প্রায় ১৩০০ ট্রেন চালাতে চলেছে ভারতীয় রেল। কেন জানেন?
জানুয়ারী মাসের ১৩ তারিখ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ২০২৫ সালের মহাকুম্ভমেলা। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে প্রতি বছর ভিড় জমান কোটি কোটি দেশ-বিদেশের ভক্ত। এবার তাঁদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করল।
রেল কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে প্রয়াগরাজে এমনি সময় ১৪০টি ট্রেন চলাচল করে। তবে কুম্ভ মেলায় ৬টি প্রধান উৎসবের সময় রেল দফতরের পক্ষ থেকে ১,২২৫টি বিশেষ ট্রেন চালানোর ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রয়াগরাজে স্নান করার পর যারা অযোধ্যা ও কাশী ভ্রমণ করতে চান তাঁদের সুবিধার জন্য প্রয়াগরাজ, প্রয়াগ, অযোধ্যা, বারাণসী, রামবাগের মতো প্রধান স্টেশনগুলিতে এই ট্রেন থামানোর পরিকল্পনা করেছে রেল বিভাগ।
চিত্রকূট দর্শন করতে চাওয়া যাত্রীদের জন্য, ঝাঁসি, বান্দা, চিত্রকূট, মানিকপুর, প্রয়াগরাজ, ফতেহপুর, গোবিন্দপুর, ওরায়লকেতে নতুন রিং রেল পরিষেবা বা চক্ররেল পরিষেবার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই ১,২২৫টি বিশেষ ট্রেনের মধ্যে আবার ৮২৫টি কম দূরত্বের ট্রেন। ৪০০টি বিশেষ ট্রেন দূরপাল্লার। বর্তমানে ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ১৭৭ শতাংশ বেশি টড়েন চলাচল করে। ২০১৯ সালে ৫৩৩টি ট্রেন কম দূরত্বের ট্রেন এবং ১৬১টি দূরপাল্লার ট্রেন ছিল বলে খবর রেল সূত্রে।
কুম্ভমেলা আগত যাত্রীদের সাহায্যের জন্য রেল দপ্তর একটি টোল ফ্রি হেল্প নম্বর চালু করতে চলেছে। তা হল ১৮০০-৪১৯৯-১৩৯। এছাড়াও রেলের তরফে ভক্তদের সুবিধার জন্য কুম্ভ ২০২৫ মোবাইল অ্যাপকে আরও উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অ্যাপটিতে এই বছর থেকে ২৪*৭ কল সেন্টার সাপোর্ট পাওয়া যাবে।
রেল সূত্রে খবর এই বিশেষ পরিষেবা দেওয়ার জন্য ৯৩৩.৬২ কোটি টাকার খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। যাত্রী সুবিধার উন্নয়নের জন্য ৪৯৪.৯০ কোটি টাকা এবং সড়ক ওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্রিজ নির্মাণের জন্য ৪৩৮.৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। নতুন স্টেশন ভবন, সিসিটিভি ব্যবস্থা সহ যাত্রীদের জন্য অনান্য নানা সুবিধা প্রদান নিয়েও কাজ চলছে।
প্রয়াগরাজ জংশনে ৪০০০ হাজার যাত্রীদের থাকার জন্য অতিরিক্ত প্যাসেঞ্জার এনক্লোজার স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যেই স্টেশনে এমন চারটি এনক্লোজার উপলব্ধ রয়েছে। সব স্টেশন এবং কুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার এলাকা মিলিয়ে মোট ৫৪২ টিকিট কাউন্টার তৈরি করা হবে।
এই কাউন্টারগুলি প্রতিদিন ৯.৭৬ লক্ষ টিকিট বিতরণের সক্ষম বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। রেল প্রোটেকশন ফোর্সের বা আরপিএফ-এর তরফ থেকে অতিরিক্ত ৬৫১ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। যার মধ্যে প্রায় ১০০টি ক্যামেরায় অপরাধীদের এবং অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিদের চিহ্নিতকরণের জন্য AI ভিত্তিক ফেস রিকগনিশন সিস্টেম থাকছে বলে খবর সূত্রে।