
নয়া দিল্লি: ১ জুলাই থেকে বদলে গিয়েছে তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের নিয়ম। এবার থেকে আধার নম্বর ভেরিফিকেশন ছাড়া কাটা যাবে না তৎকাল টিকিট। তবে দু’দিন যেতে না যেতেই ফাঁক-ফোকর বেরিয়ে গেল। নতুন নিয়মেও শুরু হয়ে গেল জালিয়াতি।
জানা গিয়েছে, তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের নতুন নিয়মেও জালিয়াতি হচ্ছে। অনলাইনে দেদার বিকোচ্ছে আধার নম্বর। সেই নম্বর বসিয়ে কাটা হচ্ছে তৎকাল টিকিট। মূলত এজেন্টরাই এই আধার আইডি কিনে তৎকাল টিকিট বুক করে নিচ্ছে।
টেলিগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গুলোয় বিক্রি হচ্ছে আধার নম্বর। টাকা দিলেই পাওয়া যাচ্ছে সেই আধার নম্বর। তারপর তৎকাল টিকিট কাটা তো হাতের মোয়া। ইতিমধ্যেই ৪০টিরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম গ্রুপের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। অনলাইনে ব্ল্যাক মার্কেটিং চলছে তৎকাল টিকিটের।
রেল মন্ত্রকের তরফে নতুন নিয়ম আনা হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে তৎকাল টিকিট কাটার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে আধার কার্ড নম্বর দিতে হবে। ১ জুলাই থেকেই দেখা যাচ্ছে, এই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে যেমন আধার নম্বর বিক্রি হচ্ছে, তেমনই আইআরসিটিসি-র আইডিও বিক্রি হচ্ছে।
আধার ভেরিফায়েড আইআরসিটিসি-র আইডি কিনতে খরচ পড়ছে ৩৬০ টাকা। এই আইডি কিনে অ্যাকাউন্টে লগ ইন করলেই ওটিপি দিয়ে তৎকাল টিকিট কেটে ফেলা যাচ্ছে।
আবার ফাস্ট তৎকাল বুকিং নামে একটা সফটওয়্যারও তৈরি করে নিয়েছে প্রতারকরা। যেখানে বট (Bot) নিজে থেকেই ব্রাউজারে যাবতীয় তথ্য পূরণ করে দিচ্ছে। এরপর এক ক্লিকেই টিকিট বুক হয়ে যাবে। এই বট সফটওয়্যারের দাম ৯৯৯ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা। অর্থাৎ ট্রেনের এজেন্টরা যদি একবার এই বট (Bot) কিনে নেন, তাহলে নিমেষে তৎকাল টিকিট কেটে ফেলতে পারবেন।