নয়াদিল্লি: রেলের ঘাড়ে এবার বাড়তি দায়িত্ব। দেশজুড়ে বছর বছর ধরে রেল পরিষেবা দিয়ে আসছে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক। তবে এবার সেই পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি আরও একটি দায়িত্ব সামলাতে হবে তাদের। কিন্তু কী সেই দায়িত্ব? মন্ত্রক সূত্রে খবর, এবার থেকে দেশজুড়ে রেল পরিষেবার পাশাপাশি পুকুর খোঁড়ার কাজও করবে তারা।
উল্লেখ্য, জলবায়ু বদলের জেরে ভুগছে গোটা দেশ। দিন প্রতিদিন চড়ছে পারদ। এখন সবে মার্চ, আর তার মধ্য়েই গরমে হাঁসফাঁস করা পরিবেশ। আবহাওয়ায় যে ভালই ‘বিষ’ মিশেছে সেই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। এই ‘বিষাক্ত’ আবহাওয়াকে আরও প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে দেশজুড়ে পুকুর ও গাছের অভাব।
অবশ্য, এই অভাবকে মাথায় রেখেই ২০২২ সালে দেশের প্রতিটি জেলায় কমপক্ষে ৭৫ টি পুকুর তৈরির জন্য আসরে নামে কেন্দ্র। মিশন অমৃত সরোবরের আওতায় শুরু হয় কাজ। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গতবছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত দেশজুড়ে ৬৪ হাজার পুকুর খোদাইয়ের কাজ সেরে ফেলেছে কেন্দ্র সরকার।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্ব। আর তাতেই হাত লাগিয়েছে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক। পুকুর খোদাইয়ের বাড়তি দায়িত্ব গিয়েছে তাদের কাঁধে। কিন্তু ঠিক কীভাবে এই প্রকল্প অংশগ্রহণ করছে রেল? মন্ত্রক সূত্রে খবর, এমন একটি এলাকায়, যেখানে রেল হয়তো নিজের লাইন বেছানোর কাজ করছে, সেখানে যদি দেখা যায় যে সেই মাটির নীচে হয়তো ভূগর্ভস্থ জল রয়েছে। তখন রেলের দায়িত্ব নিজে থেকে সেই জায়গা খুঁড়ে একটি পুকুর তৈরি করা। আর এই কাজে রেলের কর্মীদের সহায়তা করবেন জেলাশাসকরা।