Boycott Turkey-Azerbaijan: পাকিস্তানকে সমর্থন! তুরস্ক-আজারবাইজানের হাতে বাটি ধরাচ্ছে ভারতীয়রাই

Boycott Turkey-Azerbaijan: গত বছরই তুরস্ক ও আজারবাইজানে ৩.৮ লাখ ভারতীয়রা ঘুরতে গিয়েছিল। যদি পর্যটক মাথা পিছু ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচও ধরা হয়, তবে ২৫০০ কোটি থেকে ৩০০০ কোটি টাকা ভারতীয়রা খরচ করেছে এই দুই দেশে।

Boycott Turkey-Azerbaijan: পাকিস্তানকে সমর্থন! তুরস্ক-আজারবাইজানের হাতে বাটি ধরাচ্ছে ভারতীয়রাই
তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক।Image Credit source: X

|

May 14, 2025 | 12:16 PM

নয়া দিল্লি: মলদ্বীপকে দেখেও শিক্ষা নেয়নি। এবার হাড়ে হাড়ে টের পাবে তুরস্ক-আজারবাইজান। সংঘর্ষ পরিস্থিতিতে যেখানে ভারতের পাশে ছিল রাশিয়া, ইজরায়েল, সেখানেই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক-আজারবাইজানের মতো দেশ। এতেই ভারতের রোষানলে পড়েছে দুই দেশ। এবার তুরস্ক-আজারবাইজান বয়কটের ডাক দিল ভারতীয় পর্যটকরা। ইজমাইট্রিপ (EaseMyTrip) নামক একটি ট্রাভেল সংস্থাও তুরস্ক ও আজারবাইজানের সমস্ত ফ্লাইট ও হোটেলের বুকিং বাতিল করে দিয়েছে।

কয়েক বছর আগে যখন তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল, সেই সময় সবার আগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। ‘অপারেশন দোস্ত’-এ বিপুল পরিমাণ ত্রাণ দিয়ে এবং উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছিল ভারত। সেই তুরস্কই কি না সংঘর্ষের সময় ভারতের পাশে না দাঁড়িয়ে, চিনকে সমর্থন করল! পাকিস্তানকে রণতরী, অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। তুরস্কের ড্রোনও ধরা পড়েছে, যা দিয়ে ভারতের সেনাঘাঁটিতে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান।

ভারতের বন্ধুত্বের এমন প্রতিদান ভালভাবে নেয়নি দেশবাসীরা। এই ঘটনার পর থেকেই তুরস্ক ও আজারবাইজানের বুকিং ক্যানসেল হতে শুরু করেছে। ইজমাইট্রিপের তরফে জানানো হয়েছে, তুরস্কের ২২ শতাংশ বুকিং ক্য়ানসেল হয়ে গিয়েছে। আজারবাইজানে ৩০ শতাংশেরও বেশি বুকিং বাতিল হয়ে গিয়েছে।

গত বছরই তুরস্ক ও আজারবাইজানে ৩.৮ লাখ ভারতীয়রা ঘুরতে গিয়েছিল। যদি পর্যটক মাথা পিছু ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচও ধরা হয়, তবে ২৫০০ কোটি থেকে ৩০০০ কোটি টাকা ভারতীয়রা খরচ করেছে এই দুই দেশে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের পর এই দুই দেশের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে ভারতীয়রা। দুই দেশের পর্যটনই ব্যাপক ধাক্কা খাবে।

ইক্সিগো সংস্থার তরফেও তুরস্ক, আজারবাইজান ও চিনের বুকিং বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সংস্থার সিইও অলোক বাজপেয়ী পোস্ট করে লেখেন, “যথেষ্ট হয়েছে!  বুকিং ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না।”

প্রসঙ্গত, এর আগে মলদ্বীপের কয়েকজন মন্ত্রী যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভারতকে আক্রমণ করেছিল, তখন ভারতীয়রা বয়কট মলদ্বীপের ডাক দিয়েছিল। এর জেরে মলদ্বীপের পর্যটন ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেয়েছিল।