
নয়াদিল্লি: পরিবেশ নিয়ে যে ভাবুক মোদী সরকার। তার প্রমাণ মেলে সর্বত্র। ২০২৪ সালে বিজেপির প্রকাশিত ইস্তেহারেও ছিল দেশকে দূষণ মুক্ত করে তোলার কথা। এমনকি, ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী COP26 থেকে রাষ্ট্রনেতাদের উদ্দেশে ভাষণে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ২০৭০ সালের মধ্য়ে ভারত কার্বন নিঃসরণ একেবারে শূন্যে এনে ঠেকাবে।
যেমন বার্তা তেমন কাজ। ২০৭০ সাল আসেনি। ভারত এখনও শূন্য কার্বন নিঃসরণ পরিবেশও তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু গঠন করেছে প্রক্রিয়া। যা স্পষ্ট করছে যে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত টেকসই উন্নয়নের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাগুলিকে ছুঁয়ে ফেলবে।
গত এক দশকে ভারতে জ্বালানি অভূতপূর্ব পরিবর্তন এনেছে। ২০১৪ থেকে ১৫ সালে কয়লাভিত্তিক শক্তি উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৬০ শতাংশ। যা ২০২৪ সালে নেমে গিয়েছে ৪৭ শতাংশে।
কয়লার মতো শক্তির উৎসগুলিকে ছেড়ে অপ্রচলিত শক্তির উৎসগুলিকে ব্য়বহার করা শুরু করেছে ভারত। দেশে এখন শক্তি তৈরিতে এই অপ্রচলিত শক্তি অর্থাৎ সৌরবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ দ্বারা তৈরি শক্তির পরিমাণ ৮২ শতাংশ। যা আগে ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।
ভারতের এই রূপান্তরে কয়লা ও খনি মন্ত্রকেরও অবদান রয়েছে বলেই জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কয়লা ও খনি মন্ত্রী গঙ্গাপুরম কিষান রেড্ডি। তিনি জানিয়েছেন, পরিবেশ বান্ধব খনন কাজ, খনন করা ভূমিকে কাজ শেষ হলে নতুন রূপ প্রদান। সেখানে গাছ বসানো। পরিবেশ বান্ধব পার্ক তৈরির পাশাপাশি, সৌরশক্তিতে জোর। এরকম একাধিক উদ্যোগই বদলে দিয়েছে দেশের ছবি।