
নয়াদিল্লি: ভারতীয় অর্থনীতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অন্যতম মেরুদণ্ড ভারতীয় রেল। পরিবহণের ক্ষেত্রে যেমন মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তেমনই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও রেলই প্রধান ভরসা। ফলে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ করে লাভ করে রেল। ভারতীয় রেল পরিষেবায় বেসরকারি বিনিয়োগেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারতে প্রথম বেসরকারি ট্রেন হল তেজস এক্সপ্রেস। বেসরকারি এই ট্রেন চালুর পর প্রথম একমাসের লাভ একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেনের চেয়ে বেশি হয়েছে।
ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন(IRCTC) তেজস এক্সপ্রেস চালায়। দিল্লি থেকে লখনউ পর্যন্ত চলে এই এক্সপ্রেস। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে ৫০টি রেলস্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এমনকি, ১৫০টি বেসরকারি ট্রেনও চালানো হবে। তেজস এক্সপ্রেস হল বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম ট্রেন।
জানা গিয়েছে, সূচনার প্রথম মাসে তেজসের টিকিট কাটতে অত্যুৎসাহী ছিলেন যাত্রীরা। প্রথম মাসে গড়ে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ আসন পূর্ণ থাকত। প্রথম মাসে তেজসের টিকিট বিক্রি করে ৩.৭ কোটি টাকা আয় হয়। আর ট্রেন চালাতে একমাসে IRCTC-র ব্যয় হয় ৩ কোটি টাকা। ফলে তেজস এক্সপ্রেস চালিয়ে প্রথম মাসে IRCTC-র লাভ হয় ৭০ লক্ষ টাকা।
প্রথম মাসে ২১ দিন তেজস এক্সপ্রেস চলেছিল। তেজস এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৬ দিন চলে। অত্যাধুনিক ট্রেন চালাতে রেলওয়েকে প্রতিদিন ১৪ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। সেখানে তেজস চালিয়ে প্রতিদিন ১৭.৫০ লাখ টাকা আয় হয়েছে IRCTC-র।