নয়া দিল্লি: দেশে ক্রমশ বেড়েই চলেছে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা। মঙ্গলবারই দেশের ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০-র গণ্ডি পার করেছিল, একদিনেই তা প্রায় ৮০০-র দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Union Health Ministry)-র তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮১। দেশের মোট ২১টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণ।
এদিকে, ওমিক্রন সংক্রমণের পাশাপাশি দেশের করোনা সংক্রমণও অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯১৯৫ জন, যা গতকালের আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি। তবে সুস্থতার হারে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে।
বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৪০ শতাংশ, যা ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর সর্বোচ্চ সুস্থতার হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা মুক্ত হয়েছেন ৭৩৪৭ জন। এই নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ কোটি ৪২ লক্ষ ৫১ হাজার ২৯২-তে। দেশে এখনও অবধি ১৪৩ কোটি করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে।
সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা মোট আক্রান্তের তুলনায় ১ শতাংশেরও কম। নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হল ৭৭ হাজার।
দেশে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ০.৬৮ শতাংশ। বিগত ৪৫ দিন ধরেই ১ শতাংশের নীচে রয়েছে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার। দৈনিক সংক্রমণের হারও বর্তমানে ০.৭৯ শতাংশ। বিগত ৮৬ দিন ধরে ২ শতাংশের নীচেই রয়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার।
নতুন বছরেই টিকাকরণ শুরু হবে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের (Vaccination for 15-18 years)। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, আগের টিকাকরণ কর্মসূচির মতোই এবারও কো-উইন (Co-WIN) প্ল্যাটফর্মে নাম নথিভুক্ত করলেই করোনা টিকা পাওয়া যাবে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এই নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ভারতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের জন্য দুটি টিকা অনুমোদন দেওয়া হলেও, আপাতত কোভ্যাক্সিন (Covaxin) দিয়েই ছোটদের টিকাকরণ শুরু করা হবে। রাজ্যগুলিতে কীভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি পরিচালিত হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবারই বিশেষ বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব। রাজ্যগুলির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর একাধিক পদক্ষেপেরও ঘোষণা করা হয়।
জানা গিয়েছে, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য প্রতিটি রাজ্যে আলাদাভাবে টিকাকরণ কেন্দ্র (Vaccination Centre) চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। যেখানে আলাদা কেন্দ্র তৈরি সম্ভব নয়, সেখানে আলাদা লাইনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের আলাদা প্রশিক্ষণেরও (Special Training) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।