
নয়া দিল্লি: দিনের পর দিন কেটে যাচ্ছে, ইন্ডিগোর সমস্যা মিটছেই না। বৃহস্পতিবারও ৫৫০-টিরও বেশি বিমান বাতিল হয়েছে ইন্ডিগোর। এদিকে চরম ভোগান্তির মুখে পড়ছেন যাত্রীরা। কেউ অফিসের কাজে যাচ্ছিলেন, কেউ আবার চিকিৎসার জন্য। হঠাৎ বিমান বাতিল হওয়ায় তাদের কাছে যাওয়ার অন্য পথ খোলা নেই। কিছু কিছু বিমান আবার দেরিতে চলছে। সেই জন্য বিমানবন্দরেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা, এমনকী অর্ধেক দিনও অপেক্ষা করতে হল যাত্রীদের। ইন্ডিগোর চরম অব্যবস্থায় ক্ষোভে ফুঁসছেন যাত্রীরা। কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েছেন চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে। দেশের অন্যতম বড় এয়ারলাইন্সের এ কী অবস্থা! কবে স্বাভাবিক হবে পরিষেবা?
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার থেকেই আচমকা ভেঙে পড়ে ইন্ডিগোর উড়ান পরিষেবা। নতুন নিয়মে পাইলটদের বিশ্রামের পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এদিকে, এয়ারলাইন্সের কাছে তো যথেষ্ট সংখ্যক পাইলটই নেই। সঙ্কট ক্রু মেম্বারেরও। এর জেরেই চরম এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশের বিমানবন্দরগুলি জুড়ে। যেহেতু ইন্ডিগোর বিমানই সবথেকে বেশি চলাচল করে, তাই যাত্রীসংখ্যাও বেশি। হঠাৎ বিমান পরিষেবা থমকে যাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা।
IndiGo is in a terrible state right now.
Flights getting cancelled one after another, chaos at the gates, passengers arguing with crew, zero communication.My own flight has been delayed with no clarity, we’ve been at the airport for 2 hours just waiting for any update.
If… pic.twitter.com/X2K8Q5Hpyg
— Arun Prabhudesai (@8ap) December 4, 2025
বৃহস্পতিবারও একই ছবি দেখা যায় বিমানবন্দরগুলি জুড়ে। যাত্রীরা জানান, বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর কাউন্টার, হেল্প ডেস্ক ফাঁকা! ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তারা জল-খাবার না খেয়েই অপেক্ষা করছেন। সঙ্গে নেই লাগেজও। বহু যাত্রী যেমন বিমানবন্দরেই এয়ারলাইন্সের কর্মীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, অনেকে আবার হাল ছেড়ে মাটিতেই শুয়ে পড়েছেন। জানেন, অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
যাত্রীদের অভিযোগ, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স কার্যত মানসিক অত্যাচার করছে। বিমান আদৌ চলবে কি না, সেই নিয়ে কোনও সাফাই দিচ্ছে না সংস্থা। দিল্লি বিমানবন্দরে এক যাত্রী জানান, তিনি ১২ ঘণ্টা ধরে বিমানবন্দরে বসে রয়েছেন। প্রতিবারই যখন খোঁজ নিতে যাচ্ছেন ফ্লাইটের, বলা হচ্ছে, এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা লেটে ছাড়বে। এভাবেই অপেক্ষা করানো হচ্ছে। এদিকে ব্যাগেজ চেক ইন হয়ে যাওয়ায়, অন্য কোনও যাত্রাপথও পাচ্ছেন না তারা।
serious trauma memory for life…
entered the airport at 12:30 pm, boarding the flight at 3 am.
whole airport became a bus station,
boarding gate changed 6 times,
2 flights cancelled in between,
no refreshment given at all.never gonna book an indigo ever again! pic.twitter.com/zgzRwFFAsf
— Bhavyam Arora @ IBW 🇮🇳 (@AroraBhavyam) December 4, 2025
আরেক যাত্রী জানান তিনি ১৪ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন। বিমান দেরিতে ছাড়লে ডিজিসিএ-র নিয়ম অনুযায়ী খাবারের কুপন বা হোটেলে থাকার যে ব্যবস্থা করা হয়, তাও করেনি ইন্ডিগো। কর্মীরা নিজেও জানেন না কখন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।
#WATCH | A passenger says, “We were not informed that they are cancelling the flight…We have been awake since 5 am, and we have been waiting here for 2 hours. There is no information and we are standing in the queue for hours and now they are saying that they will not even… https://t.co/SlZgHzGcdB pic.twitter.com/8WNU4McLEh
— ANI (@ANI) December 5, 2025
নতুন নিয়মের কারণে যে কর্মী সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তা সংস্থা বুঝতে পারেনি বলে স্বীকার করে নিয়েছে ইন্ডিগো। অসামরিক উড়ান মন্ত্রক ও ডিজিসিএ-কে ইন্ডিগো জানিয়েছে, আপাতত তারা নাইট ডিউটি তুলে নিয়েছে। নাইট ল্যান্ডিংয়ের নিয়মও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে এখনই যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে, তা নয়। সংস্থা সূত্রে খবর, আরও দুই-তিনদিন বিমান বাতিল হবে, যতক্ষণ না তাদের নতুন রোস্টার তৈরি হয়। এই হেনস্থার জন্য যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে ইন্ডিগো।