
বেঙ্গালুরু: একটা পাখি, তাকে নিয়ে ঘুম উড়েছে গোয়েন্দাদের। কোথা থেকে এল এই পাখি, কোথায় কোথায় ঘুরেছে- যাবতীয় তথ্য় জানতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে গোয়েন্দারা। কিন্তু হঠাৎ কেন একটা পাখিকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গেল?
চারপাশে বাড়ছে বিপদ। ভারতের উপরে নজরদারিতে আবার পুরনো ফন্দিই আঁটা হচ্ছে? কর্নাটকের উপকূলে পাওয়া গেল এক পরিযায়ী সি-গাল বা গাঙচিল। আহত ওই পাখির গায়ে লাগানো রয়েছে জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস। উত্তর কন্নড় জেলায় কারওয়ার উপকূলে এই পাখিকে ঘিরেই চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কারওয়ারের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিচে এই পাখিটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কোস্টাল মেরিন পুলিশ সেল। তারপরে পাখিটিকে বনবিভাগের হাতে তুলে দিয়েছে। পাখিটির পরীক্ষা করতে গিয়েই দেখা যায়, পাখির গায়ে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো। একটি ছোট্ট সোলার প্যানেল ও একটি ইলেকট্রনিক ইউনিট রয়েছে। পাশাপাশি ট্র্যাকারের গায়ে একটি ইমেইল অ্যাড্রেসও পাওয়া গিয়েছে। ছোট হরফে মেসেজে লেখা, কেউ যদি এই পাখিটিকে পেয়ে থাকেন, তাহলে যেন ওই ইমেইল আইডি-তে যোগাযোগ করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ইমেইল আইডিটি দেখে মনে হচ্ছে সেটা চিনের অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের। তারা পরিবেশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করে বলে দাবি করে। পুলিশ প্রশাসনের তরফে ওই রিসার্চ সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
উত্তর কন্নড়ের পুলিশ সুপারিন্ডেন্টেট দীপন এমএন জানিয়েছেন, বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিযায়ী পাখির যাত্রাপথ নিয়ে গবেষণার কারণে নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে এই পাখির গায়ে জিপিএস লাগানো হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু এই কারওয়ার উপকূলেই নৌসেনার একাধিক ঘাঁটি রয়েছে, তাই সেখানে এই জিপিএস লাগানো পাখির আগমন যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে।