Ink Thrown At Rakesh Tikait : রাকেশ টিকায়েতের মুখে কালি, কৃষক সম্মেলন ঘিরে হুলস্থুল কাণ্ড বেঙ্গালুরুতে

Rakesh Tikait : বেঙ্গালুরুতে কৃষক সম্মলনে কালি ছোড়া হল কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের মুখে। এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশকে দায়ী করেছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন, সেখানে নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।

Ink Thrown At Rakesh Tikait : রাকেশ টিকায়েতের মুখে কালি, কৃষক সম্মেলন ঘিরে হুলস্থুল কাণ্ড বেঙ্গালুরুতে
ছবি সৌজন্যে : ANI

| Edited By: অঙ্কিতা পাল

May 30, 2022 | 4:08 PM

বেঙ্গালুরু : কেন্দ্রের তরফে তিন কৃষি আইনের প্রত্যাহার নিয়ে কৃষক আন্দোলনের বড় মুখ ছিল কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। এবার কৃষক আন্দোলনের সেই নেতার মুখে কালি ছোড়া হল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যুধবীর সিংও। সোমবার বেঙ্গালুরুতে একটি কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই বাঁধে ধুন্ধুমার কাণ্ড। কালি ছোড়া হয় ভারতী কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত ও সিংয়ের দিকে।

সোমবার বেঙ্গালুরুতে একটি কৃষক সম্মেলন করেন রাকেশ টিকায়েত। সেখানেই বক্তব্য রাখছিলেন কৃষক নেতা টিকায়েত। সেই সময়ই তাঁর দিকে কালি ছোড়া হয়। তারপর ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হন তিনি। একে অপরের দিকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতেও দেখা গিয়েছে। সামনে এসেছে ধস্তাধস্তিরও ছবিও। উল্লেখ্য, রাকেশ টিকায়েত একটি স্টিং অপারেশন নিয়ে কথা বলার জন্য এই কৃষক সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। এই স্টিং অপারেশনে কর্নাটকের এক কৃষক নেতাকে টাকা চাইতে দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।

তবে এই গোটা ঘটনার দায় স্থানীয় বিজেপি সরকারের উপর দিয়েছেন টিকায়েত। তিনি অভিযোগ করেছেন, কৃষক সম্মেলনের জায়গায় কোনও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়নি। সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুযায়ী তিনি বলেছেন, ‘স্থানীয় পুলিশ কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি। সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ উল্লেখ্য, রাজধানীর গাজিপুর সীমানায় সংঘটিত এক বছরব্যাপী কৃষক আন্দোলনের প্রধান মুখ ছিলেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (BKU) নেতা রাকেশ টিকায়েত। কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের পিছনে বিকেইউ এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন। রাকেশ টিকায়েত ও নরেশ টিকায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তাঁরা প্রয়াত চৌধুরী মহেন্দ্র সিং টিকায়েতের আদর্শ থেকে সরে এসেছেন। এবং দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে এই ইউনিয়ন। এক দল দাবি করেছে এটাই ‘আসল’ সংগঠন। এবং সেখানে রাজেশ চৌহানকে প্রধান হিসেবে নিয়োগও করা হয়েছে। নরেশ টিকায়েতকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং রাকেশ টিকায়েতকে দলের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।