শেষ রক্ষা হল না ‘কার্গিল নায়ক’ বিরাটের!

গোয়ার সরকাররের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জাহাজটিকে সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চেয়েছিল এনভিটেক সংস্থা। কিন্তু এনভিটেকের হাতে না এসে মালিকানা যায় শ্রী রাম গ্রুপের কাছে।

শেষ রক্ষা হল না 'কার্গিল নায়ক' বিরাটের!
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 12, 2021 | 3:10 PM

নয়া দিল্লি: সপ্তাহখানেক আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আইএনএস বিরাট এখন বেসরকারি সম্পত্তি। সেখান থেকেই বিরাটের টুকরো টুকরো হওয়ার সম্ভাবনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। কিন্তু সোমবার সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে কার্যত আইএনএস বিরাটকে ভেঙে ফেলায় ‘গো আহেড’ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বারবার জলঘোলা হয়েছে ঐতিহাসিক রণতরী আইএনএস বিরাটকে (INS Viraat) নিয়ে। একাধিকবার আদালতের সিদ্ধান্তে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে গিয়েছে বিরাট। আবার কখনও সেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়ে ১০০ কোটি টাকায় আইএনএস বিরাট কিনে সংগ্রহশালা তৈরি করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল একটি সংস্থা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জানাল, আবেদন দেরিতে জমা পড়েছে। তাই ধ্বংসের দিকেই এগোচ্ছে ‘কার্গিল নায়ক।’

বিরাটকে সংগ্রহশালায় পরিণত করার কথা আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। প্রথমে গোয়ার সরকাররের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জাহাজটিকে সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চেয়েছিল এনভিটেক সংস্থা। কিন্তু এনভিটেকের হাতে না এসে মালিকানা যায় শ্রী রাম গ্রুপের কাছে। এরপর শ্রীরাম গ্রুপ, জাহাজটি বিক্রি ও সংগ্রহশালার জন্য অনাপত্তি পত্র দিতে নারাজ হয়। অন্ধ্র প্রদেশ সরকারও রণতরীটিকে সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে ভর্তুকি আবেদন করেছিল। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভর্তুকি দিতে রাজি না হওয়ায় ভেসতে যায় সেই পরিকল্পনাও।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালে প্রথম ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিরাট। সেই থেকে যুদ্ধ শুরু এই রণতরীর। ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ড যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আইএনএস বিরাট। ১৯৮৫ সালে ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে নেওয়া হয় এই রণতরী থেকে। ১৯৮৬ সালে ভারতে আসে বিরাট। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে করাচি বন্দরের উপর কড়া নজরদারি চালিয়েছে এই রণতরী। সমুদ্রে অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে ভারতের জল সীমানা রক্ষা করেছে ৩০ বছর। এই রণতরী ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে সমুদ্রে কাটিয়েছে প্রায় ২,২৫২ দিন। যার যাত্রাপথ ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ২১৩ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন: ঘাটে উপচে পড়া ভিড়, সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে পুণ্য অর্জনে কুম্ভে চলছে শাহি-স্নান