Physical Harassment: নেশার জিনিস গলায় ঢেলে ধর্ষণ! বুকে ব্লেড দিয়ে নাম লিখে দেয় ‘ইনস্টাগ্রাম’-এর ‘বন্ধু’
Physical Harassment: নাবালিকার অভিযোগ, হুক্কা বার থেকে বেরনোর পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এক ফাঁকা জায়গায়। সেখানে যোগ দেন অভিযুক্তের আরও বেশ কয়েকজন বন্ধু।
কানপুর : একসঙ্গে ক্যাফেতে গিয়েছিলেন দুজনে। হুকাও খান তাঁরা। কিন্তু পানীয়ের সঙ্গে যে শরীরে নেশার দ্রব্য প্রবেশ করেছে, তা বুঝতে পারেনি নাবালিকা। এরপরই টেনে হিঁচড়ে ক্যাফের বাইরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশের কানপুরের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ধর্ষণ নয়, নাবালিকাকে টেনে আর এক জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের চেষ্টা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। গত শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। কোনও ক্রমে পালিয়ে যায় বছর ১৬-র ওই নাবালিকা। তার গোটা শরীরে ক্ষতচিহ্ন। বাড়িতে গিয়ে সব জানানোর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন নাবালিকার বাবা। নাবালিকারব মা ও বাবা দুজনেই পেশায় চিকিৎসক।
পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকার সঙ্গে ওই যুবকের ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে বন্ধুত্ব হয়েছিল। নাবালিকার অভিযোগ দিনের পর দিন নানাভাবে হুমকি দেওয়া হত তাকে। লাইটার জ্বেলে চুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নাবালিকার অভিযোগ, তার বুকে ব্লেড দিয়ে নিজেপ নাম লিখে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত, যাতে তাঁকে আর কেউ বিয়ে করতে না পারে। তবে এমন ঘটনা ঘটে যাবে ভাবতে পারেনি সে।
নাবালিকার অভিযোগ, হুক্কা বার থেকে বেরনোর পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এক ফাঁকা জায়গায়। সেখানে যোগ দেন অভিযুক্তের আরও বেশ কয়েকজন বন্ধু। গণ ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। নাবালিকা পুলিশকে জানিয়েছে সে বাধা দিতে গেলে তার গোটা গায়ে আঁচড়ে, কামড়ে দেওয়া হয়। সেই ক্ষত নিয়েই কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে পালিয়ে যায় সে। তার দাবি, সম্প্রতি অভিযুক্ত তার একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করে ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছিল। ভয়ে সে সব কথা বাড়িতে জানাচে পারেনি সে। অভিয়োগের পরই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।