
ইম্ফল: বিগত ৪ মাস ধরে অশান্তির আগুনে জ্বলেছে মণিপুর (Manipur)। অশান্তি ঠেকাতে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা (Internet Services) বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। ১০০ দিন পর অবশেষে শনিবার ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার কথা ঘোষণা করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং (CM N. Biren Singh)। ব্রডব্যান্ড পরিষেবার পাশাপাশি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হল।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিং বলেন, আমি মণিপুরের জনগণকে জানাতে যাই যে, অপ্রত্যাশিত ঘটনার জেরে রাজ্য সরকারের তরফে ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। আজ থেকে, জনগণের জন্য সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় চালু করা হল। আগের তুলনায় রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার ফলেই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হল বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবারই রাজ্যবাসীর কাছে বেআইনি অস্ত্র আত্মসমর্পণ করার আবেদন জানিয়েছে মণিপুর সরকার। এর জন্য ১৫ দিন সময়ও দিয়েছে। ১৫ দিন পর রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পুনরায় বেআইনি অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাবে এবং কেউ ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছিল এন. বীরেন সিংয়ের সরকার। সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করল সরকার।
প্রসঙ্গত, কুকি ও মেইতি জনজাতির সংঘর্ষের জেরে গত ৩ মে থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। দু-পক্ষের সংঘর্ষে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ঘরছাড়া হয়েছে অসংখ্য মানুষ। অনেকে এখনও চূরাচন্দ্রপুরে শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন। রাজ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতেই সেই সময় মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় কারফিউ জারি করে ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বীরেন সিংয়ের সরকার। দীর্ঘ সময় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় বহু মানুষ সমস্যায় পড়েন। আইটি সেক্টর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজকর্মেও সমস্যা শুরু হয়। তারপর গত ২৫ জুলাই বিশেষ-বিশেষ ক্ষেত্রে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। তবে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। প্রায় চার মাস পর অবশেষে গোটা রাজ্যে পুরোদমে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হল।