নয়া দিল্লি : কোটেশ্বর রাওয়ের পর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে হাজিরা দিলেন আরও এক আইপিএস শ্যাম সিং। বুধবার তাঁকে তলব করেছিল ইডি। এ দিন সকালেই দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে পৌঁছে যান তিনি। কয়লা-কাণ্ডের তদন্তে মোট ৮ আইপিএসের নাম এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। তাঁদের মধ্যেই একজন শ্যাম সিং। একসময় বীরভূমে পুলিশ সুপার ছিলেন তিনি। ডিআইজি হিসেবে মেদিনীপুর রেঞ্জেও ছিলেন তিনি। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার পদেও ছিলেন একসময়।
আগেও কয়লা পাচারের মামলায় অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে দিল্লিতে ইডি দফতরে। এবার পরপর আট আইপিএস-কে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রক্রিয়া চলছে। সেই তালিকায় প্রথমেই ছিলেন আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। মঙ্গলবার সময়েই আগেই গিয়ে হাজিরা দেন আর এক আইপিএস কোটেশ্বর রাও। আর এবার হাজিরা দিলেন শ্যাম সিং। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে শ্যাম সিং-কে বীরভূমের পুলিশ সুপার পদ থেকে সরানো হয়েছিল। তাঁকে দুর্গাপুরের এসপি ট্রাফিক পদে পাঠানো হয়েছিল।
এরপর আরও কয়েকজন আইপিএস-কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। ২৬ অগস্ট রাজীব মিশ্র, ২৯ অগস্ট সুকেশ জৈন, ৩০ অগস্ট তথাগত বসু, ৩১ অগস্ট ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি ৷
যে সময় কয়লা রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলি থেকে কয়লা পাচার হত বলে অভিযোগ, সেই সময় এই অফিসারদের কেউ ছিলেন আইজি পদে, কেউ ডিআইজি পদে। কী ভাবে তাঁরা দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও তাঁদের সামনে দিয়ে লালার লোকজন কয়লা পাচার করত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, কয়লা পাচার মামলায় শুধু আইপিএস নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের একাধিক নেতারও নাম সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে দু’বার দিল্লি গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও তলব করা হয়েছিল সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে।