Israel-Hamas War: বিরতি শেষ, শেষ বন্দি বিনিময়, ফের বিধ্বংসী যুদ্ধে ফিরল গাজা

Israel-Hamas War: গত শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর থেকে প্রথমে চারদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে আরও দুইবার এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই সময়কালে, গাজা থেকে হামাসের হাতে অপহৃত বেশ কয়েকজন ইজরায়েলি ও বিদেশি যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

Israel-Hamas War: বিরতি শেষ, শেষ বন্দি বিনিময়, ফের বিধ্বংসী যুদ্ধে ফিরল গাজা
যুদ্ধ ফিরতেই শিশুদের দেহ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু আতঙ্কিত গাজাবাসীরImage Credit source: AFP

| Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Dec 01, 2023 | 12:14 PM

গাজা সিটি: সাত দিন পর ফের যুদ্ধ ফিরল গাজা ভূখণ্ডে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, তারা ফের গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। তাদের অভিযোগ, হামাসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইজরায়েল লক্ষ্য করে গোলাগুলি ছোড়া হয়েছে। তারপরই, তারা ফের হামাস বিরোধী অভিযান শুরু করেছে। গত শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর থেকে প্রথমে চারদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে আরও দুইবার এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই সময়কালে, গাজা থেকে হামাসের হাতে অপহৃত বেশ কয়েকজন ইজরায়েলি ও বিদেশি যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েলের কারাগারগুলি থেকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে কয়েকশো প্যালেস্তিনীয় বন্দিকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতিও দিয়েছে তেল আবিব। মূলত, কাতার, মিশর ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

এদিন, স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতি শেষ হয়। এর এক ঘণ্টা আগেই ইজরায়েল জানায়, গাজা থেকে ইজরায়েল লক্ষ্য করে একটি রকেট ছোড়া হয়েছিল। তা মাটিতে পড়ার আগেই অবশ্য সেটিকে প্রতিহত করেছে ইজরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযোগ, যুদ্ধবিরতির নির্দিষ্ট সময়সীমার অতিক্রমের কয়েক মিনিট আগে থেকেই গাজার নিকটবর্তী ইজরায়েলি এলাকাগুলিতকে রকেট হামলা শুরু করেছে হামাস। এদিন সকাল থেকে, সীমান্তবর্তী ইজরায়েলি শহরগুলিতে ফের সতর্কতামূলক সাইরেন বাজছে। অন্যদিকে, প্যালেস্তিনীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গাজা ভূখণ্ড জুড়ে ইজরায়েলি বিমান ও কামান হামলা চালানো শুরু হয়েছে। হামাসের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি বা হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি।

গাজায় স্থলপথে হামলা চালানো এবং বোমাবর্ষণ বন্ধ করার ন্যূনতম শর্ত হিসাবে প্রতিদিন ১০ জন করে যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে বলে জানিয়েছিল ইজরায়েল। বৃহস্পতিবার, যুদ্ধবিরতির শেষ দিনেও আটজন যুদ্ববন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। অন্যদিকে, ইজরায়েল ৩০ জন প্যালেস্তিনীয় বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। ফলে, যুদ্ধবিরতির সাতদিনে মোট ১০৫ জন যুদ্ধবন্দি এবং ২৪০ জন প্যালেস্তিনীয় বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।

কাতার এবং মিশরের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে, তা শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। এদিনই, ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমি হামাসকে নির্মূল করার শপথ নিয়েছি, তা করেই ছাড়ব।” এদিকে,মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইজরায়েল অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে সম্মত হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আমেরিকা ইজরায়েলকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় অসামরিক ব্যক্তিদের হতাহতের ঘটনা এবং উত্তরে বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার ঘটনার পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। ইজরায়েল সরকার এই মার্কিন প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে।