
ওরছা: অযোধ্যায় রয়েছে ‘শিশু’ রাম বা রামলালা। মনে করা হয় এই অযোধ্য়াতেই জন্ম হয়েছিল রামের। সেখানেই রাম মন্দিররের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল সোমবার। প্রতিষ্ঠিত হল বালক রামের মূর্তি। বিশ্বাস করা হয়, রাম রাতে শয়ন করেন অযোধ্যাতেই। কিন্তু দিনের বেলা তিনি থাকেন অন্যত্র। সেখানে তিনি রাজা। সেখানে তাঁর প্রজাদের নিত্য যাতায়াত। অযোধ্যা কয়েক’শ কিলোমিটার দূরে চলে সেই রাজত্ব। অযোধ্যা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে মধ্যপ্রদেশের ওরছায় রয়েছে তাঁর প্রাসাদ। সে যেন দ্বিতীয় ‘অযোধ্যা’।
মধ্যপ্রদেশের ওরছায় রয়েছে ‘রাজারাম মন্দির’। অযোধ্য়ার মতোই ওরছাতেও রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে রাম-ভক্তি ও আবেগ। কোনও ধর্মের সীমাবদ্ধতা নেই এখানে। হিন্দু, মুসলিম উভয় ধর্মের যান সেই মন্দিরে। কারণ রাম সেখানে দেবতা নয়, রাজা। মনে করা হয়, অযোধ্যার সঙ্গে ওরছার ৬০০ বছরের সম্পর্ক। তৎকালীন রাজা মধুকর শাহ রামলালাকে অযোধ্যা থেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ওরছায়। অযোধ্যা রামের জন্মস্থান বলে মনে করা হলেও, তাঁর আসল রাজত্ব ছিল এই ওরছায়।
সেখানে রাম রাজা হিসেবে অধিষ্ঠিত। বিশাল প্রাসাদে তাঁর অবস্থান। দণ্ডায়মান মূর্তির হাতে রয়েছে ঢাল ও তরবারি। সরকারি পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে অবস্থান করেন ২৪ ঘণ্টা। চার প্রহরে চারবার বন্দুকে স্যালুট দেওয়া হয় রাম-কে।
ওরছার রাম মন্দির
ওরছায় প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি কাউকেই ভিআইপি হিসেবে ধরা হয় না। সবাই সেখানে সাধারণ মানুষ। প্রত্যেককেই রামের প্রজা বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, রাম দিনের বেলায় অবস্থান করেন ওরছায়। রাজত্ব চালান, প্রজাদের কথা শোনেন আর রাতে ঘুমোতে চলে যান অযোধ্যায়। সন্ধ্যায় সেখানে হয় রামের শয়ন আরতি। মনে করা হয়, হনুমানের পিঠে চেপেই রাম অযোধ্যায় চলে যান।