
নয়া দিল্লি: বর্তমানে নেট দুনিয়ায় নতুন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিপফেক ভিডিয়ো (Deepfake Video)। বলিউড অভিনেত্রী রশ্মিকা, কাজল, ক্যাটরিনা থেকে সচিন-কন্যা সারার পর্যন্ত ডিপফেক ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। বাদ যাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। যা নিয়ে তিনিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির আধিকারিকদের তলব করে কড়া বার্তা দিয়েছে কেন্দ্র। এবার এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে ৭ দিনের জন্য সময় বেঁধে দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar)। ডিপফেক ভিডিয়োর উপর নজরদারির জন্য কেন্দ্র বিশেষ অফিসার নিয়োগ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার ডিপফেক ভিডিয়ো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলিকে কড়া বার্তা দেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, ” Meity (তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক) একটা ওয়েবসাইট ডেভলপ করছে, যেখানে সরাসরি নেটিজেনরা আইটি নিয়ম লঙ্ঘন সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ জানাতে পারবে এবং সেরকম কোনও ঘটনা ঘটলে তাদের এফআইআর করতে সহায়তা করবে Meity।” তারপর ডিপফেক ভিডিয়োটি কোথা থেকে এসেছে দেখে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। গোটা বিষয়টি নজরদারির জন্য শীঘ্রই অফিসার নিয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে আইটি নিয়ম অনুসারে তাদের শর্তাবলী ঠিক করার জন্য ৭ দিনের সময় বেঁধে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, “আজ থেকে আইটি নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হচ্ছে।” সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মটি যাতে নিরাপদ এবং বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম হতে পারে, সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এছাড়া যে বা যারা ডিপফেক ভিডিয়ো পোস্ট করবে তার বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ও ৩ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব-সহ সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্ত প্ল্যাটফর্মগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তলব করেছিল কেন্দ্র। সমস্ত ডিপফেক ভিডিয়ো অবিলম্বে সরিয়ে ফেলার ব্যাপারে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে।