শ্রীনগর: নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা দুই জঙ্গির। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় সেনা জওয়ান ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর প্রত্যাঘাতেই দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গিদের থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করেছে বাহিনীর জওয়ানরা। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়া জেলায়। ওই জেলার মাছিল সেক্টরের কুমকাদি এলাকায় দিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল বলে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। কুপওয়াড়া পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতেই ওই এলাকায় সজাগ ছিল বাহিনী। তাই জঙ্গিরা ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিদের থেকে ২টি একে ৪৭, চারটি একে ম্যাগজিন, ৯০ রাউন্ড গুলি, পাকিস্তানে তৈরি পিস্তল, প্রায় ২ হাজার পাকিস্তানি মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে। ওই এলাকায় এখনও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বাহিনীর জওয়ানরা।
সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলায় জঙ্গি দমন অভিযানে নেমেছিল সেনা। পাক জঙ্গিরা সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলে সেনার গুলিতে খতম হয় তিন জঙ্গি। পাকিস্তানের তরফে সে সময় কভার ফায়ারিং দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলে ভারতীয় সেনা। ওই জঙ্গিদের থেকে বিপুল অস্ত্র, গুলি, গ্রেনেড, বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল। এ ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানের মুদ্রাও ছিল জঙ্গিদের থেকে।
জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পার্বত্য এলাকা দিয়ে এ দেশে প্রবেশের চেষ্টা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ভারতে ঢুকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে থেকে নাশকতা মূলক কাজ ও জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা করে উপত্যকাকে অশান্ত করে তুলতে চায় জঙ্গিরা। কিন্তু ভারতীয় সেনাও সদা জাগ্রত থাকে, ধারাবাহিকভাবে কড়া নজরদারি চালায়। গত কয়েক মাস ধরে নাগাড়ে অভিযান চালিয়েছে সেনা। এর জেরে প্রচুর জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বা ধরা পড়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে অবশ্য জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারাতে হয়েছে বেশ কয়েক জন সেনা জওয়ানকে।