জল্পনা নয়, আজই দিল্লিতে ধনখড়ের শাহি-সাক্ষাৎ
ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। মিনিট ৪০ কথা হয় তাঁদের মধ্যে।
নয়া দিল্লি: রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত নতুন নয়। জগদীপ ধনখড়ের দিল্লি সফর ঘিরেও তাই শাসক শিবির কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছে বারবার। রাজ্যের ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ তাঁর এই সফরের অন্যতম উপজীব্য, তা বুঝতে বাকি নেই তৃণমূল নেতাদের। এই তরজার মাঝেই আজ, বৃহস্পতিবার ধনখড়ের সফরের দ্বিতীয় দিন। ‘হিংসা’ ইস্যুতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তাই অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা ছিলই। অবশেষে জানা যাচ্ছে, সময় দিয়েছেন অমিত শাহ। আজ সন্ধেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন ধনখড়।
এ দিন সকালেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেছেন জগদীপ ধনখড়ের। সস্ত্রীক তিনি গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে। ৪০ মিনিটের কথোপকথন হয় তাঁদের। সূত্রের খবর, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খনা পরিস্থিতি নিয়েই মূলত এ দিন কথা হয় রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির। অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার জল্পনা আগেই ছিল। ভোটের পর হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে ঘুরে গিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জানা গিয়েছে, সন্ধে সাতটায় অমিত শাহের বাড়িতে যাবেন রাজ্যপাল ধনখড়।
ইতিমধ্যেই দিল্লি গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্রের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল। অরুণ মিশ্রই বর্তমানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন। এ ছাড়াও বুধবার কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। টুইটারে জানিয়েছেন, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তাঁরা। দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় কয়লা, খনি এবং সংসদীয় মন্ত্রকের মন্ত্রীর সঙ্গেও। বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। তবে এখনও সময় দেওয়া হয়নি তাঁকে।
আরও পড়ুন: ‘অন্যায় কাজ করলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হয়…’, বৈশাখীকে খোঁচা রত্নার
এ দিকে, মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন, “স্বাধীনতার পর থেকে রাজ্যে এমন সন্ত্রাস হয়নি। নারীদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। রাজ্যের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। বারবার বলা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী নীরব।” তাঁর বক্তব্য, হিংসা নিয়ে অবিলম্বে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করতে হবে, হিংসা বন্ধে ব্যর্থতার জন্য পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, সিবিআই দফতরে মুখ্যমন্ত্রীর ধরনার নিন্দাতেও সরব হয়েছেন রাজ্যপাল।