নয়া দিল্লি: রাজ্যসভায় বড় দায়িত্বে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। রাজ্যসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্যানেলে রাখা হয়েছে তাঁর নাম। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। অধিবেশনের প্রথমদিনই উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় রাজ্যসভার প্যানেল ঢেলে সাজান। প্যানেলে ৫০ শতাংশ জায়গা দেওয়া হয়েছে মহিলা সাংসদদের। নয়া প্যানেলেই রয়েছে শান্তনু সেনের নাম। তবে, শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দেওয়া এই দায়িত্ব তৃণমূল সাংসদ গ্রহণ করবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের সংসদীয় দলের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই, একতরফাভাবে প্যানেলের সদস্য হিসেবে শান্তনু সেনের নাম ঘোষণা করেছেন জগদীপ ধনখড়। প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত ঘাসফুল শিবিরের তরফে এই প্যানেলের সদস্য ছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর তাই, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক। শান্তনু সেন নিজে জানিয়েছেন, দল অনুমতি দিলে তবেই তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
সোমবার রাজ্যসভার অধিবেশনের শুরুতেই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় জানান, ভাইস-চেয়ারম্যানের প্যানেল নতুন করে গঠন করেছেন তিনি। প্যানেলে ৫০ শতাংশ মহিলা সদস্য রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে মহিলা প্রতিনিধির সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। এরপর তিনি আট সদস্যের প্যানেল ঘোষণা করেন। চার মহিলা সদস্য হিসেবে তিনি বিজেপি সাংসদ কান্তা কর্দম, সুমিত্রা বাল্মীক, গীতা ওরফে চন্দ্রপ্রভা এবং বিজু জনতা দলের সাংসদ মমতা মোহান্তর নাম ঘোষণা করেন। প্যানেলের অন্য চার সদস্য হিসেবে তিনি কংগ্রেস সাংসদ অখিলেশ প্রসাদ সিং, আম আদমি পার্টির সাংসদ নারায়ণ দাসগুপ্ত, ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ভি বিজয়সাই রেড্ডি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের শান্তনু সেনের নাম ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বা ডেপুটি চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির ভাইস-চেয়ারপার্সন প্যানেলের সদস্যরা রাজ্যসভার সভাপতিত্ব করতে পারেন।
পরে এই বিষয়ে শান্তনু সেন জানিয়েছেন, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন প্যানেলে তাঁর নাম ঘোষণা করার পরই তিনি বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে আলোচনা করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি আসার পর, তাঁকেও বিষয়টি জানিয়েছেন শান্তনু সেন। সূত্রের খবর, গোটা বিষয়টি দেখছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন অভিষেক। শান্তনু জানিয়েছেন, দল অনুমতি দিলে তবেই তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। না-হলে তিনি এই দায়িত্ব প্রত্যাখ্যান করবেন।