
নয়া দিল্লি: দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত বেড়ে ১৫, আটক আরও তিন। ধৃতরা সকলেই জইশ-এর ‘ডাক্তার মডিউলের’ সদস্য বলে জানা যাচ্ছে। এদের মধ্যে কিছু জনকে জম্মু-কাশ্মীর, কিছু জনকে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি ২০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃত চিকিৎসকদের সঙ্গে সন্দেহভাজনদের কী যোগাযোগ তা জানার চেষ্টা চলছে।
ধৃতদের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলার এক মৌলবীও রয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই তদন্তকারীদের আতস কাচের তলায় ছিল এই মৌলবী। শ্রীনগরের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে প্যারা মেডিক্যাল স্টাফ হিসাবেও কর্মরত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারীদের অনুমান মেডিক্যাল ছাত্রদের মগজ ধোলাইয়ের কাজটাও একাই অনেকটাই করতেন এই মৌলবী। কোন পথে সেই কাজ চলতো, গোটা নেটওয়ার্কে তাঁর ভূমিকা কী ছিল সবটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে এই মৌলবীর রীতিমতো যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যোগাযোগ ছিল মোজাম্মিল, উমদের সঙ্গেও। এমনকী জইশের সঙ্গেও তার যোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জইশের আরও কোনও গোপন তথ্য সামনে আসে কিনা সেটাই দেখার। অন্যদিকে কাশ্মীরে কমপক্ষে ২০০ জায়গায় পুলিশি তল্লাশি চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। কুলগামেও চলে পুলিশের চিরুনি তল্লাশি। নিষিদ্ধ জামাত ইসলামি সদস্যদের বাড়িতে চলছে তল্লাশি। গত চারদিনের পরিসংখ্যান বলছে প্রায় ৪০০ জায়গায় তল্লাশি চলেছে। ৫০০ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের সন্দেহেই জিজ্ঞাসাবাগ। তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস।