নয়া দিল্লি: ফের জোর ধাক্কা খেল কংগ্রেস। বুধবার (২৪ অগস্ট) দলের জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জয়বীর শেরগিল। দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। তিনি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে দুঃখ পেয়েছেন তিনি। তবে দল আর জনসাধারণ এবং দেশের স্বার্থে কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তিনি। বদলে কিছু স্তাবক যারা বাস্তবতাকে অস্বীকার করে, তাদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দল।
জয়বীর শেরগিল আরও বলেন, “গত ৮ বছরে, আমি কংগ্রেসের কাছ থেকে কিছু নিইনি, শুধুমাত্র পার্টিতে দিয়ে গিয়েছি। আজ আমাকে কিছু লোকজনের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য করা হচ্ছে, কারণ তারা শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ। এটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কংগ্রেস পার্টির সিদ্ধান্ত গ্রহণ এখন আর বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার কাছে সময় চেয়েছি, কিন্তু আমাদের তাঁদের অফিসে স্বাগত জানানো হয় না।”
In the past 8 yrs, I’ve not taken anything from Congress but only poured into the party. Today when I’m being pushed to bow down before people because they’re close to the top leadership; this isn’t acceptable to me: Jaiveer Shergill after resigning from all posts in Congress pic.twitter.com/ZCb0AoBHKi
— ANI (@ANI) August 24, 2022
পদত্যাগের পর, টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও কংগ্রেসের নাম সরিয়ে দিয়েছেন জয়বীর শেরগিল। তাঁর সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দূরত্ব বাড়ছিল। কারণ, গত কয়েক মাসে তাঁকে একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায়নি। গত কয়েকদিনে গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মার মতো বিশিষ্ট নেতারাও কংগ্রেসের বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বছরের শেষেই হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে দলের স্টিয়ারিং কমিটির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আনন্দ শর্মা। তিনি জানিয়েছিলেন, দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাঁকে যুক্ত করা হচ্ছে না। আত্মসম্মানের সঙ্গে আপোস করবেন না বলেই পদ ছাড়ছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
তার আগে জম্মু ও কাশ্মীরে কংগ্রেসের প্রচার কমিটির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন গুলাম নবি আজাদ। তাঁকে না জানিয়েই দলের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রচার কমিটির প্রধান করা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ। তাঁকে যেদিন প্রচার কমিটির প্রধান করা হয়েছিল, তার পরের দিনই ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মা দুজনই কংগ্রেসের বিদ্রোহী গোষ্ঠী জি-২৩’এর অন্যতম পরিচিত মুখ।