
জ্যোতির্ময় কর্মকার, সায়ন্ত ভট্টাচার্য, সিজার মণ্ডল: পহেলগাঁও হামলার পর আরও বড় হামলার ছক পাকিস্তানের। এবার পুলিশ, সিআইডি, কাশ্মীরি পণ্ডিত, রেল কর্মীরা পাক আইএসআই ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর টার্গেটে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান সেনা কী করছে, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো কী করতে পারে, তার ওপর সম্পূর্ণভাবে নজর রাখা হচ্ছে। সেখান থেকেই বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। যে জায়গাগুলো সব থেকে বেশি সংবেদনশীল, কাশ্মীরি পণ্ডিত কিংবা সুরক্ষা বাহিনীর ওপর হামলা চালানো হতে পারে। নিরাপত্তা সব জায়গায় আটোসাঁটো করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র এখনই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনর্গঠন করে আবার পর্যটনকেন্দ্রগুলো খোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
টার্গেট কিলিংয়ের প্যাটার্ন সামনে এনেছে জঙ্গিরা। পর্যটকদের ওপর গুলিচালনা আগে কখনও কাশ্মীরে হয়নি, অন্তত গত দু-তিন দশকের স্মৃতি হাতড়ে তা মনে করতে পারছেন না সেখানকার বাসিন্দা তথা গোয়েন্দারাও। সেক্ষেত্রে গোয়েন্দাদের একাংশ মনে করছে, জঙ্গিরা সমাজের এমন একটা অংশকে টার্গেট করছে, যাদের শেষ করলে, সামাজিক প্রভাব মারাত্মক পড়তে পারে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ভূমিকা ভারতীয় রাজনীতিতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কাশ্মীরে পরিবারে খুন, কাশ্মীর থেকে বিতাড়িত করা, এগুলো যথেষ্ট দেশকে নাড়িয়েছিল।
পহেলগাঁও হত্যার পর সেখান পর্যটকদের মধ্যে ছিলেন কানপুরের বাসিন্দা একতা তিওয়ারি। তিনি কিছু কথোপকথন শুনেছিলেন। তাঁর বক্তব্যে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, আরও বড় ষড়যন্ত্রের ছক কষছে জঙ্গিরা। বেশ কয়েকজনকে আরও বড় অ্যাসাইমেন্ট দিয়ে পাঠানো হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। জঙ্গিরা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।