শ্রীনগর: ফের শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া। এবার জম্মু-কাশ্মীরে এক ব্যক্তি খুন করলেন এক মহিলাকে। খুনের পর তিনি ওই যুবতীর দেহ টুকরো টুকরো করেন এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সেই দেহের টুকরো ফেলে দিয়ে আসেন। রবিবার অভিযুক্তকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নেন। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, সম্প্রতিই ওই যুবতীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর ভাই। এরপর থেকেই পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছিল। রবিবার সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে, অভিযুক্ত নিজেই যাবতীয় অপরাধ স্বীকার করে নেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবতীর বয়স ৩০ বছর। জম্মু-কাশ্মীরের বাদগামের সইবাগের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। চাকরির পরীক্ষার জন্য একটি কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করতেন। গত ৮ মার্চ ওই যুবতীর ভাই তানভীর আহমেদ খান থানায় গিয়ে বোনের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানান। তিনি জানান, গত ৭ মার্চ কোচিং সেন্টারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল তাঁর বোন। কিন্তু রাতভর অপেক্ষা করলেও যুবতী বাড়ি ফেরেননি। এরপরই ৮ মার্চ পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করা হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করে। বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে জেরাও করা হয়। এরমধ্যেই একজন ছিলেন সাবির আহমেদ ওয়ানি। বাদগামের মোহন্দপোরার বাসিন্দা তিনি। জেরাতেই তিনি যুবতীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক সাবির বিবাহিত। তবে ওই যুবতীর প্রতি তাঁর দুর্বলতা ছিল। গত ৭ মার্চের রাতেই সে যুবতীকে খুন করে এবং তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ফেলে আসে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের বয়ানের ভিত্তিতেই শহরজুড়ে তল্লাশি চালিয়ে যুবতীর দেহের বিভিন্ন টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও খুনের কারণ জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, বিগত এক সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই ধরনের খুনের ঘটনা ঘটল। এর আগে গত শুক্রবার এক মহিলা চিকিৎসককে খুন করেন তাঁর প্রেমিক। সামান্য় কারণ নিয়ে বচসার জেরেই যুবক তাঁর প্রেমিকাকে ছুরি নিয়ে কুপিয়ে খুন করেন। এরপরে সে নিজেও ওই ছুরি ব্যবহার করেই আত্নহত্য়া করার চেষ্টা করেন। বর্তমানে ওই যুবক জম্মুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।