নয়াদিল্লি: জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের নতুন প্রতিকৃতি নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে। নতুন সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত অশোক স্তম্ভের সিংহের মূর্তি অনেক বেশি হিংস্র- এই অভিযোগ উঠেছে। তুলনায় এত দিন ধরে অশোক স্তম্ভে ব্যবহৃত সিংহেরা অনেক বেশি সৌম্য এবং শান্ত। এই বিতর্কের রেশ মেলাতে না মেলাতে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। সেই চিঠিতে অশোক স্তম্ভের বিকৃতির প্রতিবাদ করেছেন। পাশাপাশি নতুন অশোক স্তম্ভ নিয়ে বেশ কয়েকটি দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে, সারনাথের প্রকৃত অশোক স্তম্ভের সঙ্গে নব উন্মোচিত অশোক স্তম্ভকে যাচাই করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। ত্রি-ডি কম্পিউটারাইজড ইমেজিং-এর মাধ্যমে যাচাইয়ের দাবি করেছেন তিনি। অশোক স্তম্ভ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, যাচাইয়ের মাধ্যমে তা নিরসনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন তিনি। ত্রি-ডি কম্পিউটারাইজড পদ্ধতির মাধ্যমে সারনাথের প্রতিকৃতির সঙ্গে তা পুরোপুরি মিলিয়ে দেখা সম্ভব বলে দাবি করেছেন তিনি।
নতুন অশোক স্তম্ভের প্রতিকৃতির আকারের পরিবর্তনেরও অভিযোগ করেছেন জহর সরকার। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, অশোক স্তম্ভের প্রকৃত আকারের প্রায় চার গুণ বড় বানানো হয়েছে সংসদ ভবনের নতুন অশোক স্তম্ভ। সেই বিষয়েও নজর দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
সংসদ ভবনের অশোক স্তম্ভের নতুন প্রতিকৃতি তৈরি করতে কত খরচ হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো দিল্লির আর্বান আর্ট কমিশনার এবং হেরিটেজ কনজারভেশন কমিটির থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন এই প্রাক্তন আইএএস। এই কমিটিকে নতুন অশোক স্তম্ভের কম্পিউটার জেনেরেটেড ছবি দেখানো হয়েছে কি না, তাও জানতে চেয়েছেন তিনি।
উত্তর প্রদেশের সারনাথ মন্দিরে রয়েছে ‘লায়ন ক্যাপিটাল অব অশোক’। এই প্রাচীন ভাস্কর্যের উপর ভিত্তি করেই সাবেক অশোক স্তম্ভটি তৈরি করা হয়েছিল। যার সঙ্গে নব নির্মিত অশোক স্তম্ভের ফারাক রয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।