এলজেপির ভাঙনে হাত নেই জেডিইউ-র! অবস্থান স্পষ্ট করছে না বিজেপি

Jun 14, 2021 | 5:11 PM

চিরাগ পাসোয়ানের (Chirag Paswan) হাত ছেড়েছেন বিক্ষুব্ধ সাংসদরা। এতে নীতিশ কুমারে দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।

এলজেপির ভাঙনে হাত নেই জেডিইউ-র! অবস্থান স্পষ্ট করছে না বিজেপি
ফাইল ছবি

Follow Us

পাটনা: সপ্তাহের শুরুতেই বিহারের রাজনীতিতে বড়সড় ভাঙন। চিরাগ পাসোয়ানের নেতৃত্বে ক্ষুব্ধ হয়ে দল ছেড়েছেন পাঁচ সাংসদ। লোকসভার অধ্যক্ষকে তাঁরা সাফ জানিয়েও দিয়েছেন যে তাঁরা এলজেপির অংশ নন। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই এই ভাঙনে বড়সড় ভূমিকা আছে চিরাগ পাসোয়ানের কাকা পশুপতি পরসের। তবে জেডিইউ সাফ জানিয়েছে যে তাদের এই ভাঙনে কোনও ভূমিকা নেই, বিজেপিও পাসোয়ানের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে।

বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের পরই এলজেপি-র একমাত্র বিধায়ক রাজু সিং-কে জেডিইউ দলে নিয়ে নিয়েছিল। সূত্রের খবর, জেডিইউ নেতা রাজীব রঞ্জন সিং ও বিহার বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার মাহেশ্বরী হাজারি এলজেপি-র এই ভাঙনে ভূমিকা নিয়েছেন। বিহার সরকারের মন্ত্রী অশোক চৌধুরী অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়েছেন, এই ভাঙনে জেডিইউ-র কোনও ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, ‘গত বিধানসভা নির্বাচনে যে ধরনের রাজনীতি হয়েছে, তাতে দলের সদস্যদের ক্ষুব্ধ হওয়া স্বাভাবিক।

অন্য দিকে, বিজেপি যারা আগে চিরাগ পাসোয়ানকে সমর্থন করেছে, তারাও ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। গুরু প্রকাশ পাসোয়ান বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধা্ত নেবে। কংগ্রেস নেতা প্রেমচন্দ্র মিশ্র বলেন, ‘এই ভাঙনের পিছনে আছেন নীতিশ কুমার।

আরও পড়ুন: করোনাকালে পড়ুয়াদের কমল চাপ, বাদ পড়ল দশম-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠক্রমের ৩০ শতাংশ

দলীয় সূত্রে খবর, এই সঙ্কটের আঁচ আগেই করা হয়েছিল, কিন্তু তা পাত্তা দেননি চিরাগ। নির্বাচনের সময় গোটা রাজ্য ঘুরে সকল দলীয় কর্মীর সমস্যা শোনার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন মিটতেই দলীয় কর্মীদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তিনি। বিধায়কদের দেখাদেখি এ বার কর্মীরাও দল ছাড়তে পারেন বলে আশঙ্কা।

গতবছর রামবিলাস পাসোয়ানের মৃত্যুর পর থেকেই এলজেপির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তাঁর পুত্র চিরাগ পাসোয়ান। কিন্তু বিহার নির্বাচনের আগে থেকেই দলের ভিতর তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে ক্ষোভ দেখা দেয়। এরপর নির্বাচনের ফলে ভরাডুবির কারণ হিসাবেও বহু দলীয় কর্মীই চিরাগকেই দোষারোপ করেছিলেন।  সূত্র অনুযায়ী, বিক্ষুব্ধ পাঁচ সাংসদ ইতিমধ্যেই চিরাগ পাসোয়ানের বদলে অন্য নেতৃত্বের দাবি জানিয়েছেন।
Next Article