ট্রেনভর্তি যাত্রীর সামনেই গেঞ্জি-জাঙ্গিয়া পরে ট্রেনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধায়ক! দিলেন অদ্ভুত সাফাইও

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Sep 03, 2021 | 11:42 AM

সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনা ভাইরাল হতেই বিহারের ওই বিধায়ক নিজের আচরণের সাফাই দিয়ে বলেন, "আমার পেট খারাপ ছিল, বারবার শৌচালয়ে যাচ্ছিলাম। সেই সময়ই ছবিটি তোলা হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ সত্যি কথাই বলছি।"

ট্রেনভর্তি যাত্রীর সামনেই গেঞ্জি-জাঙ্গিয়া পরে ট্রেনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধায়ক! দিলেন অদ্ভুত সাফাইও
ভাইরাল হওয়া ছবিটি।

Follow Us

নয়া দিল্লি: পরনে কেবল একটি স্যান্ডো গেঞ্জি ও জাঙ্গিয়া! ট্রেনের মধ্য়ে এভাবেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক যাত্রী। অপর যাত্রীরা পোশাক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতেই তিনি পাল্টা গালিগালাজও করেন। এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছেন জেডিইউ(JDU)-র বিধায়ক গোপাল মন্ডল।  ইতিমধ্যেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বিধায়কের অন্তর্বাস পরা ওই ছবি।

বৃহস্পতিবার পটনা-নয়া দিল্লি তেজাস রাজধানী এক্সপ্রেসের (Patna-Delhi Tejas Rajdhani Express) এ-১ কোচে দিল্লি যাচ্ছিলেন ভাগলপুরের গোপালপুরের বিধায়ক গোপাল মন্ডল (Gopal Mandal)। ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই যাত্রীরা দেখতে পান ওই বিধায়ক কেবল একটি গেঞ্জি ও জাঙ্গিয়া পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীরা এই দৃশ্য় দেখে অস্বস্তিতে পড়েন।

এক যাত্রী ওই বিধায়ককে সভ্য পোশাক পরতে বলায় তিনি গালিগালাজ করতে শুরু করেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণও করেন। ধীরে ধীরে বচসা আরও বাড়ে। এরপরই  আরপিএফের দল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইস্ট-সেন্ট্রাল রেলওয়ের সিপিআরও বলেন, “একাধিক যাত্রীর কাছ থেকে ওই বিধায়কের পোশাক ও ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আরপিএফ ও টিটিই-কে পাঠানো হয়। তারা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করেন।”

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনা ভাইরাল হতেই বিহারের ওই বিধায়ক নিজের আচরণের সাফাই দিয়ে বলেন, “আমার পেট খারাপ ছিল, বারবার শৌচালয়ে যাচ্ছিলাম। সেই সময়ই ছবিটি তোলা হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ সত্যি কথাই বলছি।”

আরপিএপের তরফেও জানানো হয়েছে, তেজাস রাজধানী এক্সপ্রেসের এ-১ কোচের ১৩, ১৪ ও ১৫ সিটটি গোপাল মন্ডলের নামে বুক করা হয়েছিল। অপর দিকেই ২২ ও ২৩ নম্বর আসনে নিজের পরিবারকে নিয়ে সফর করছিলেন প্রহ্লাদ পাসওয়ান নামক এক ব্যক্তি। দুজনেই পটনা থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন। কিন্তু ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরই ট্রেনে সবার সামনে পোশাক ছাড়তে শুরু করেন গোপাল নগরের বিধায়ক। তাঁকে শৌচালয়ে গিয়ে পোশাক পরিবর্তনের অনুরোধ করলেো তিনি তা গ্রাহ্য করেননি।

এর কিছুক্ষণ পরই তাঁকে গেঞ্জি ও জাঙ্গিয়া পরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। প্রহ্লাদ পাসওয়ানের পাশাপাশি বাকি যাত্রীরাও এ বার অসন্তোষ প্রকাশ করতে থাকেন। এতেই ক্ষেপে যান বিধায়ক। ওই ব্যক্তিকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন তিনি। বাকি যাত্রীরা ওনার আচরণের প্রতিবাদ জানালে তাদের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপরই আরপিএফকে খবর দেওয়া হয়।

দিলদারনগর পার করার সময়ই আরপিএফ বাহিনী আসে। তারা দুই পক্ষেকেই বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। দলের বিধায়কের আচরণে লজ্জায় পড়েছে জেডিইউ-ও। যদিও দলের তরফে এই বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।  আরও পড়ুন: পুলিশের বিরুদ্ধেই অপহরণের অভিযোগ! ফের সীমানা বিবাদে জড়াল অসম-মিজোরাম সরকার 

Next Article