ঝাড়খণ্ড: ব্যাগ ভর্তি বাক্স। প্রত্যেকটা বাক্সতে ভরা একেকটি কোবরা। বিদেশের বাজারে সেই সব সাপের মূল্য কয়েক কোটি টাকা। সেই সব বাক্স নিয়েই ট্রেনে উঠেছিলেন এক মহিলা। যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে সেই সব সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ড পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, নাগাল্যান্ড থেকে এসে পশ্চিমবঙ্গ হয়েই ওই সাপ পাচারের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সোমবার তাঁকে ঝাড়খণ্ডের টাটানগর রেল স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে কিছু জিনিস নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ট্রেনে করে। তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ২৮ টি সাপ ও বেশ কিছু কীটপতঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে। স্টেশনের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক রাজেশ তিওয়ারি জানান, নীলাচল এক্সপ্রেসে ওই সব সাপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে খবর পাওয়া যায়। যাত্রীদের সন্দেহ হওয়ার পর তল্লাশি চালিয়ে সাপগুলিকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই মহিলা নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা।
পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত মহিলা নাগাল্যান্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। সেখান থেকে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। মাঝপথেই ধরা পড়ে যান তিনি। কিছুটা রাস্তা যাওয়ার পর তাঁর কিছু আচরণে সন্দেহ হয়েছিল যাত্রীদের। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি। একসঙ্গে ব্যাগের মধ্যে এতগুলি বিরল সাপ দেখে কার্যত চোখ কপালে উঠে যায় পুলিশ আধিকারিকদেরও। কেন ওই ভাবে ব্যাগের মধ্যে সাপগুলিকে নিয়ে দিল্লি যাচ্ছিলেন? কী পরিকল্পনা ছিল? আর কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, সে ব্যাপারে জেরা করা হচ্ছে মহিলাকে।
উল্লেখ্য, মূল্যবান সাপ পাচার করার ঘটনা ভারতে নতুন নয়। সাধারণত এই সব সাপের বিষ থেকে নানা ধরনের ওষুধ তৈরি হয়। আবার কোনও কোনও প্রজাতির সাপকে সৌভাগ্যের বাহক বলে মনে করা হয়, সেই সংস্কার থেকেও অনেক বেশি দাম দিয়ে সাপ কেনেন কেউ কেউ। তাই সাপ পাচারের প্রবণতা বাড়ছে ক্রমশ।