
নয়া দিল্লি: পহেলগাঁওয়ের বৈসরন ভ্য়ালিতে জঙ্গি হানায় পাকিস্তান যোগ স্পষ্ট। পাক মদতেই এতটা দুঃসাহস দেখিয়েছে জঙ্গিরা, যেখানে কখনও কাশ্মীরে পর্যটকদের উপরে হাত পড়েনি, সেখানেই খুঁজে খুঁজে হিন্দু পর্যটকদেরই মেরেছে জঙ্গিরা। এই জঙ্গি হামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। এই হামলায় জড়িতদের প্রশিক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করেন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদ।
জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের এই সন্ত্রাস মডিউল দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। জঙ্গিদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল পাকিস্তানি। তাদের সমর্থন করেছিল স্থানীয় মিলিট্যান্টরা। ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করেছে কাশ্মীরের বাসিন্দারাই। আর এদের সকলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ২৬/১১ হামলার মাস্টারমাইন্ড তথা লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ।
সূত্রের খবর, এই মডিউল দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীর উপত্যকায় সক্রিয়। এর আগে সোনমার্গ, বুটা পাথরি, গান্দেরওয়াল সহ একাধিক হামলার পিছনেও এই মডিউলেরই হাত ছিল। সোনমার্গের হামলার পর লস্কর-ই-তৈবার এ প্লাস ক্যাটেগরির জঙ্গি জুনেইদ আহমেদ ভাটকে নিকেশ করা হয়েছিল। তার গ্রুপের বাকি সদস্যরা পালিয়ে গিয়েছিল।
সাধারণত জঙ্গি হানার পরই জঙ্গিরা আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যায়। যতক্ষণ না পাকিস্তানের হ্যান্ডেলারদের থেকে পরবর্তী নির্দেশ আসে, ততক্ষণ তারা ঘন জঙ্গলেই লুকিয়ে থাকে। জানা গিয়েছে, লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সইদ ও তাঁর ডান হাত সইফুল্লাই কাশ্মীরের মডিউলকে নিয়ন্ত্রণ করে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শুধু মগজধোলাই নয়, জঙ্গিদের অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ও কৌশলগত দিক থেকে সাহায্য করে পাকিস্তানি সেনা ও আইএসআই। পাকিস্তানের জঙ্গিদের সঙ্গে কাশ্মীরের যুবকদেরও মগজধোলাই করে জঙ্গি বানিয়ে হামলা করানো হয়।