Justice Fathima Beevi: প্রয়াত সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি ফতিমা বিবি
Justice Fathima Beevi: অবসরের পর, তাঁকে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে তিনি দেশের মহিলাদের কাছে ছিলেন একজন আইকন। অনেক মহিলাই তাঁকে দেখেই আইনের জগতে কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।
কোচি: চলে গেলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি ফতিমা বিবি। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) কেরলের কোল্লামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপত হিসাবে অবসরের পর, তাঁকে তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে তিনি দেশের মহিলাদের কাছে ছিলেন একজন আইকন। অনেক মহিলাই তাঁকে দেখেই আইনের জগতে কাজ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। কেরলের পান্ডালামের বাসিন্দা ছিলেন বিচারপতি ফতিমা বিবি। পথনমথিট্টার ক্যাথলিকেট হাই স্কুল থেকে স্কুলশিক্ষা শেষ করার পর ত্রিবান্দ্রম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি।
১৯২৭ সালে কেরলের পান্ডালামের জন্মেছিলেন এম ফতিমা বিবি। পথনমথিট্টার ক্যাথলিকেট হাই স্কুল থেকে স্কুলশিক্ষা শেষ করার পর ত্রিবান্দ্রম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। এরপর, তাঁকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতে উত্সাহ দিয়েছিলেন তাঁর বাবা। ১৯৫০-এ বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তিনি ছিলেন বার কাউন্সিলের প্রথম স্বর্ণপদক প্রাপ্ত মহিলা। এরপর, কেরলেই আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ফতিমা বিবি। ১৯৭৪ সালে জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ১৯৮০ সালে, আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এর তিন বথর পর কেরল হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে উন্নীত হন। আর ১৯৮৯ সালে তৈরি করেছিলেন নতুন ইতিহাস। নিয়োগ পেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে।
১৯৯২ সালে অবসর গ্রহণের পর, প্রথমে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তারপর, তাঁকে নিয়োগ করা হয় তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল হিসেবে। তবে, এই পদে খুব বেশিদিন থাকেননি তিনি। রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় চার দন্ডিত বন্দি তাঁর কাছে করুণার আবেদন করেছিলেন। সাজা কম করার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ফতিমা বিবি। এরপরই তামিলনাড়ুর রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।