নয়া দিল্লি: উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে ভেঙানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে রাজধানীতে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। তবে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে ‘অশ্রদ্ধা’ করেননি বলেই দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাজ্যের বকেয়া বরাদ্দ নিয়ে এক বৈঠক করেন। ২০ মিনিটের সেই বৈঠকের শেষে, সাংবাদিক মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, জগদীপ ধনখড়কে ‘অশ্রদ্ধা’র প্রশ্নই ওঠে না।
তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন আপনারা এই ধরনের কথা বলেন। আমরা তো সবাইকে শ্রদ্ধা করি। এখানে অশ্রদ্ধার কোনও প্রশ্নই নেই। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক দিক থেকে দেখা উচিত। সহজভাবে নেওয়া উচিত। রাহুল যদি ভিডিয়ো না তুলত, তাহলে তো আপনারা জানতেও পারতেন না।” তাঁকে ফের প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কি তিনি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজকে সমর্থন করছেন? উপরাষ্ট্রপতিকে ভেঙানো সমর্থন করছেন? তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আমার যা বলার তা বলে দিয়েছি। আজ আমি বাংলার বিষয় ছাড়া, অন্য কোনও বিষয়ে কথা বলব না।”
সোমবার, সংসদের বাইরে সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী সাংসদরা ধর্না দিচ্ছিলেন। সেই সময়ই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই অঙ্গভঙ্গি করেন। গেরুয়া শিবির থেকে এই ঘটনা নিয়ে আক্রমণ শানানো হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলির বিরুদ্ধে। শুধু কল্যাণ একাই নন, সংসদের বাইরে শ্রীরামপুরের সাংসদের সেই অঙ্গভঙ্গীর ভিডিয়ো তুলে বিপাকে পড়েছেন রাহুল গান্ধীও। বিজেপি বলছে, এই ভিডিয়োই বলে দিচ্ছে, কেন রেকর্ড সংখ্যক বিরোধী সাংসদকে সংসদের দুই কক্ষ থেকে সাসপেন্ড করতে হয়েছে।
এদিন খোদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, তিনি উপরাষ্ট্রপতিকে আঘাত করতে চাননি। তবে তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁকে যে ধরনের অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যাচ্ছে, জগদীপ ধনখড় কি রাজ্য সভায় সেই ধরনের আচরণই করেন? না-হলে এত বিতর্ক কেন?