
নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার এসএসসি (SSC) মামলা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য। এদিন, আদালত নির্দেশ দিয়েছিল সাত দিনের মধ্যে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কোর্টের প্রশ্ন, “অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে কেন গিয়েছিলেন? কায়েমি স্বার্থ ছাড়া রাজ্য এ কাজ করতে পারে না।” শুধু তাই নয়, শীর্ষ এও বলেছে, “একজনও দাগি যদি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় তাহলে ফল ভোগ করতে হবে রাজ্যকেই।”
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের আবেদন ছিল তাঁরা যোগ্য প্রার্থী। শুনানির সময় মামলাকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এখনও অযোগ্যদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে। সেই সময়ই বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন ও রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্রের প্রশ্নের মুখে বিড়ম্বনায় পড়েন রাজ্যের হয়ে মামলা লড়া কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল শুনানির সময় কল্যাণ সওয়াল করেন, যোগ্যদের তালিকা সব স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সময় বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের প্রশ্ন, ‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দাগিদের তালিকা কি প্রকাশ হয়েছে?‘ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে প্রথমে আদালতে দাবি করেন কল্যাণ। পাল্টা বিচারপতি জানতে চান, “কোন-ওয়েবসাইট বা কোন খবরের কাগজে প্রকাশ হয়েছে?” তখনই আইনজীবী জানান, “দাগিদের তালিকা প্রকাশ হয়নি।”
এরপর বিস্ময় প্রকাশ বিচারপতির প্রশ্ন, “এটা কী ধরনের সওয়াল? একবার এক কথা বলছেন আর একবার অন্য কথা।” এরপর দুঃখ প্রকাশ করে কল্যাণ জানান, আগামী সাত দিনের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট আগেই এই কথা বলেছিল। তবে তৃণমূল সরকার করবে না। আজ সুপ্রিম কোর্ট সাতদিনের সময়সীমা দিয়েছে। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি ওরা এখনও সততার সঙ্গে সেই লিস্ট পাবলিশড করবে না। কারণ, ওরা জানে যাঁদের থেকে টাকা নিয়েছে তাঁদের নাম বেরিয়ে এলে বিপদ। তাই কোনও কাজই সততার সঙ্গে করবে না।” আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পরীক্ষা যেমন হওয়ার তেমন হবে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে সাত দিনের মধ্যে অযোগ্যদের লিস্ট পাবলিশড করে দিতে হবে। কারণ এরা কেউ পরীক্ষায় বসতে পারবে না।”