Kamal Haasan: ‘লিমিটে থাকতে পারে না, কেয়ারলেস…’, বিষমদ কাণ্ডে বিতর্কে কমল হাসান

Kamal Haasan on Tamil Nadu hooch tragedy: কান্নায় ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। শ্মশানে জ্বলেই চলেছে চিতা। এই অবস্থায়, তামিলনাড়ুতে বিষাক্ত মদ কাণ্ড সম্পর্কে এক বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ কমল হাসান। প্রকান্তরে দুষলেন ভুক্তভোগীদেরই। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের ঝড়।

Kamal Haasan: 'লিমিটে থাকতে পারে না, কেয়ারলেস...', বিষমদ কাণ্ডে বিতর্কে কমল হাসান
বিষমদ কাণ্ডে বেফাঁস মন্তব্য কমল হাসানের Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jun 23, 2024 | 10:45 PM

চেন্নাই: তামিলনাড়ুতে বিষাক্ত মদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৷ চারটি হাসপাতাল মিলিয়ে ভর্তি আছেন ২১৬ জন৷ কান্নায় ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। শ্মশানে জ্বলেই চলেছে চিতা। এই অবস্থায়, এই দুঃখজনক ঘটনা সম্পর্কে এক বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ কমল হাসান। রবিবার (২৩ জুন), কাল্লাকুরিচি মেডিকেল কলেজে এই বিষাক্ত মদ কাণ্ডে অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে দেখা করেন মক্কাল নিধি মৈয়ম দলের প্রধান। এরপর, তিনি প্রকারান্তরে এই বিপর্যয়ের জন্য ভুক্তভোগীদেরই দায়ী করে বসেন। ভুক্তভোগীদের তিনি ‘কেয়ারলেস’ বলেছেন। ‘সীমা অতিক্রম করার’ জন্য ভুক্তভোগীদের সমালোচনাও করেন।

এদিন তিনি বলেন, “এই ভুক্তভোগীদের প্রতি আমার কোনও সহানুভূতি নেই, এই কথা আমি বলতে পারি না। কিন্তু ভুক্তভোগীদেরও বুঝতে হবে, তারা তাদের সীমা অতিক্রম করেছে এবং তারা অসতর্ক ছিল। তাদের সতর্ক থাকতে হবে। তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। তামিলনাড়ুতে, পর্যাপ্ত পরিমাণে (বৈধ) মদের দোকান রয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ব মদের খুচরা আউটলেটগুলির সংখ্যা ফার্মেসিগুলির থেকেও বেশি।” সরকারের কাছে তিনি মনোরোগ কেন্দ্র তৈরির অনুরোধ করেছেন। যেখানে নিত্যদিনের মদ্যপানের বিপদ সম্পর্কে মদ্যপদের বোঝানো হবে। এছাড়া, সংযমের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন কমল হাসান। তিনি বলেন, “মাঝে মাঝে মদ্যপান করা যেতে পারে। যদি মদ খেতেই হয়, সামাজিক অনুষ্ঠানে পান করুন। তাদের বুঝতে হবে, কোনও কিছুরই সীমা অতিক্রম করা খারাপ। সেটা চিনি হোক বা অন্য কিছু। এটা (মদ) তো খারাপ বটেই।”

কমল হাসানের এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর বিরুদ্ধে একবগ্গাভাবে ডিএমকে সরকারকে সমর্থন করার অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ তাঁকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে এতগুলো মানুষের মৃত্যু হয়নি। তারা মিথানল বা বিষমদ পানের কারণে মারা গিয়েছে। এমনকি, কমল হাসানের পরামর্শ মেনে তারা যদি সামাজিকভাবে মাঝে মাঝে এটা পান করত, তাহলেও তাদের মরতে হত। জনপ্রতিনিধিরা ভুক্তভোগীদের দোষারোপ করছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বলেছে নেট দুনিয়া। সমালোচকরা বলেছে, তাঁর চলচ্চিত্রের ভূমিকা এবং বাস্তব জীবনের কাজের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। তাঁকে ‘দ্রাবিড় মতাদর্শের পুতুল মাত্র’ও বলা হয়েছে। এমনকি, কমল হাসানকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডিএমকে সরকার পরিচালিত মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার নিদানও দিয়েছেন কেউ কেউ।

এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে কমল হাসান যেখানে গিয়েছিলেন, সেই কাল্লাকুরিচি মেডিকেল কলেজে। সেখানে ৩১ জন মারা গিয়েছেন। ভর্তি আছেন আরও ১০৮ জন। এছাড়া, জওহরলাল ইনস্টিটিউট অব পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে (জিপমার) ৩ জন, ভিলুপুরম মেডিকেল কলেজে ৪ জন, সালেম মেডিকেল কলেজে ১৮ জন মারা গিয়েছেন।