Kamduni Case: শুনানি শুরু হতেই শেষ! কেন শীর্ষ আদালতে স্থগিত হয়ে গেল কামদুনি মামলার শুনানি?

Kamduni Case: এদিনের শুনানির শুরুতে কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারের তরফে একটি পৃথক  SLP  জমা করা হয়। নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য, আট অভিযুক্তের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও জবাবদিহি করতে হবে।

Kamduni Case: শুনানি শুরু হতেই শেষ! কেন শীর্ষ আদালতে স্থগিত হয়ে গেল কামদুনি মামলার শুনানি?
সুপ্রিম কোর্টে কামদুনি মামলা স্থগিতImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 02, 2024 | 2:19 PM

নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে কামদুনি মামলার রায়দান স্থগিত। মামলায় জড়িত সব পক্ষকে নোটিস দিয়ে জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত। তবে দোষীদের ফের গ্রেফতারির দাবিতে নারাজ সুুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিচারপতি বি আর গাভাই এবং সন্দীপ মেহেতার এজলাসে শুনানি ছিল।  এদিনের শুনানির শুরুতে কামদুনির নির্যাতিতার পরিবারের তরফে একটি পৃথক  SLP  জমা করা হয়। নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য, আট অভিযুক্তের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও জবাবদিহি করতে হবে। তার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান তাঁরা।  মঙ্গলবার সেই মামলার প্রথম শুনানি ছিল। কিন্তু এদিনের শুনানি বেশি দূর এগোয়নি। শীর্ষ আদালতের তরফ থেকে মামলায় জড়িত সকলকে নোটিস জারি করা হয়। অভিযুক্ত আট জনের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও নোটিস  দেয় শীর্ষ আদালত।

শীর্ষ আদালতে মামলা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, রাষ্ট্রপতি ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিতে যান কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবাদীরা। তাঁদের একটাই বক্তব্য, রাজ্য সরকারের গাফিলতিতেই দোষীরা ছাড়া পেয়ে গিয়েছে।

এ দিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে প্রতিবাদী মৌসুমী কয়াল বলেন, “মহিলা কমিশনার দফতরে আমরা চিঠি করেছিলাম। সেখান থেকে রাজ্য ডিজিকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের এ ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই। কেবল ব্রেন ওয়াশ করার জন্য রাত ১২টার সময়ে সিআইডি গিয়ে হাজির হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের মামলার সঙ্গে আমাদের মামলাটা যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যকে নোটিস করেছে শীর্ষ আদালত। রাজ্য সরকারের কোনও উকিলও এদিন আদালতে ছিল না। রাজ্য তো এত বড় আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু এত বড় মামলার শুনানিতে কোনও উকিলই নেই।”

মামলার প্রেক্ষাপট

২০১৩ সালের কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় সম্প্রতি ডিভিশন বেঞ্চ ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকে বেকসুর খালাস করে। পাশাপাশি আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন জন ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করের সাজা লঘু করে নিম্ন আদালত। হাইকোর্টের এই নির্দেশ মেনে নিতে পারেনি নির্যাতিতার পরিবার-প্রতিবাদীরা। মেনে নেয়নি রাজ্যও। রাজ্য হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়।