কানপুর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা এক তরুণীর অভিযোগ, পুলিশ কনস্টেবল তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন। সেই সহবাসের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন তিনি। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মী তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন বলে অভিযোগ। এমনকি তাঁদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তরুণী। এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তরুণী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর নাম বাতুকধর দ্বিবেদী। তিনি কনস্টেবল পদে কর্মরত। তাঁর বিরুদ্ধেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ২ বছর ধরে সহবাসের অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। সেই সহবাসের জেরে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ে করতে পুলিশ কর্মী অস্বীকার করছেন বলে অভিযোগ। এর পরই ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের অফিসে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী।
অভিযুক্ত কনস্টেবলের সঙ্গে সম্পর্কে নির্যাতিতা তরুণী বলেছেন, “প্রথমে সে আমাকে বিয়ে করার কথা বলেছিল। পুলিশে চাকরি নিশ্চিত হলেই বিয়ে করবে বলে জানিয়েছিল। প্রায় ২ বছর ধরে আমার সঙ্গে সহবাস করেছে। আমাকে নিয়ে ঘুরতেও যেতেন। এক বার আমরা চিত্রকূট গিয়েছিলাম। তখন আমার মা আমাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেছিল। আমার মায়ের সামনেও বিয়ে করার কথা বলেছিল। আমার বয়স ১৮ হলেই বিয়ে করবে বলে জানিয়েছিল।” তিনি আরও বলেছেন, “এখন আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছি। কিন্তু আমাকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। এমনকি বার বার বিয়ের কথা বললে আমার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে।”
অভিযোগের ব্যাপারে ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ইস্ট) প্রমোদ কুমার বলেছেন, “একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগের বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে শেষ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। আমরা কনস্টেবলের ব্যাপারেও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালাচ্ছি। দু-আড়াই বছর আগে ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখন সামনে এসেছে।”