বেঙ্গালুরু: কাবেরী নদীর জলছাড়া বিতর্ক চলছে গত কয়েক মাস ধরেই। সম্প্রতি তামিলনাড়ুকে জলছাড়ার পর কাবেরীর জল নিয়ে ক্ষোভ বেড়েছে কর্নাটকে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টার কর্নাটক বনধের ডাক দিয়েছে কন্নড়পন্থী একাধিক সংগঠন। শুক্রবার সকাল থেকে এই বনধের উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে। বেঙ্গালুরুতেও বনধের ভালোই প্রভাব পড়েছে। সকাল থেকেই সেখানে রাস্তাঘাট অনেকটাই শুনশান, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ, অফিস রয়েছে বন্ধ। একাধিক হিংসার ঘনটাও ঘটেছে। সেই সব ঘটনায় প্রায় ১০০ জন বনধ সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও এর প্রভাব পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেঙ্গালুরুর বেশ কয়েকটি এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি রয়েছে।
কাবেরী জল সমস্যা নিয়ে ডাকা বনধের জেরে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাতিল করা হয়েছে ৪৪টি বিমান। এর মধ্যে ২২টি বিমান বেঙ্গালুরু আসার কথা ছিল এবং ২২টি বিমানের বেঙ্গালুরু থেকে উড়ে যেত। বনধের জন্য অনেক যাত্রীও টিকিট বাতিল করিয়েছেন। বিভিন্ন কারণেই এই বিমান বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বেঙ্গালুরুতে সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট, শপিং মল বন্ধ রয়েছে। অটো এবং ট্যাক্সি পরিষেবার ব্যাহত ওই শহরে। যদিও বেঙ্গালুরুতে মেট্রো পরিষেবা চালু রয়েছে। সরকারি বাসও নেমেছে রাস্তায়। কিন্তু এ সব অন্যান্য দিনের মতো যাত্রী ছিল না।
বনধের মধ্যেই বনধ সমর্থনকারীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বেঙ্গালুরু বিভিন্ন প্রান্তে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের কুশপুতুলও দাহ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ঢোকার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বনধের মধ্যও সরকারি অফিস খোলা রয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ওষুধের দোকান এবং জরুরি পরিষেবাও চালু রয়েছে। এই সব জায়গায় যাতে বনধ সমর্থনকারীরা কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটাতে পারে, সে জন্য প্রচুর পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশ ২টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। সাধারণ মানুষ বনধের জেরে কোনও সমস্যায় পড়লে এই নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইতে পারবেন।