
বেঙ্গালুরু: কর্নাটক পুলিশের প্রাক্তন প্রধানের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। রবিবার বেঙ্গালুরুতে তাঁর বাড়ি থেকেই দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তেই অনুমান ছিল, খুন করা হয়েছে প্রাক্তন জিডিপি-কে। এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল এই খুনের মামলায়। অভিযোগের তীর উঠছে পুলিশকর্তার স্ত্রীর দিকেই। সূত্রের খবর, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তাকে বেঁধে রেখে কোপানো হয় মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত।
রবিবার বিকেলে কর্নাটকের প্রাক্তন ডিজিপি ওম প্রকাশের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। রক্তে ভাসছিল গোটা ঘর, দেহে একাধিক আঘাত ছিল। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন প্রাক্তন ডিজিপির স্ত্রী, মেয়ে ও পরিবারের এক সদস্য। তাদের সকলকেই আটক করা হয়।
তদন্তে জানা গিয়েছে, সম্ভবত প্রাক্তন পুলিশকর্তার স্ত্রীই খুন করেছেন। তাদের মধ্যে নিয়মিত বচসা হত। গতকাল দুপুরেও স্ত্রী পল্লবীর সঙ্গে তুমুল বচসা হয়। ঝগড়ায় তাঁর মুখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে দেয় স্ত্রী। এরপর তাঁকে বেঁধে ছুরি দিয়ে কোপায়। ৬৮ বছরের পুলিশ কর্তাকে কাচের বোতল দিয়েও আঘাত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
খুনের পর, পুলিশকর্তার স্ত্রী আরেক পুলিশকর্তার স্ত্রীকে ফোন করেন এবং জানান যে তিনি তাঁর স্বামীকে মেরে ফেলেছেন। এরপর ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে ফোন করেন। সব শুনে ওই পুলিশ আধিকারিকই খবর দেন স্থানীয় থানায়। এরপর পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। ১২ ঘণ্টা ধরে নিহত প্রাক্তন ডিজিপির স্ত্রী ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতিই ওম প্রকাশ একটি সম্পত্তি এক আত্মীয়ের নামে লিখে দিয়েছিলেন। এই নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা শুরু হয়। খুনের তাদের মেয়ের ভূমিকা রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।